চণ্ডীগঢ়: কোনও মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ বা যৌন অত্যাচার করা হচ্ছে, এমন ঘটনা ভারতে প্রায় প্রতিদিনই ঘটে চলেছে। কিন্তু মঙ্গলবার, ঠিক উল্টো অভিযোগ করলেন পঞ্জাবের জলন্ধরের এক শ্রমিক। তাঁর দাবি, চার যুবতী তাঁকে একটি সাদা গাড়িতে করে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর চারজনে মিলে তাঁকে একটি বনাঞ্চলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। শেষে চোখ এবং হাত বেঁধে এক নির্জন এলাকায় তাঁকে ফেলে দিয়ে যায় ওই যুবতীরা। তবে ওই ব্যক্তি থানায় কোনও অভিযোগ জানাননি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীই তাঁকে এই ঘটনার বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাতে বাধা দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রীয়ের মতে, তিনি জীবিত ফিরে এসেছেন, এটাই তাঁদের পরিবারের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।
নির্যাতিত শ্রমিকের অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের উদ্দেশ্যেই তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। তিনি এক চামড়ার কারখানায় কাজ করেন। সোমবার কারখানার কাজের পর তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কাপুরথালা রোডে একটি সাদা গাড়ি তাঁর কাছে এসে থেমেছিল। গাড়িটিতে ৪জন যুবতী বসে ছিলেন। প্রত্যেকেরই বয়স ২০-র কোঠায়। যে যুবতী গাড়িটি চালাচ্ছিলেন, তিনি একটি কাগজে লেখা ঠিকানা সম্পর্কে জালতে চেয়েছিলেন। ওই শ্রমিক যখন কাগজে লেখা ঠিকানাটি দেখছিলেন, সেই সময়ই গাড়িতে বসা অন্য মেয়েরা তাঁর চোখে একটি অজ্ঞাত রাসায়নিক ছিটিয়ে দিয়েছিল। এরপরই, ওই শ্রমিক আর কিছু দেখতে পায়নি এবং অজ্ঞানও হয়ে যান।
জ্ঞান ফেরার পর, তিনি দেখেছিলেন তিনি ওই গাড়িটিতে বসে আছেন। পিছমোড়া করে তাঁর হাত বাঁধা। তাঁর চোখও বাঁধা ছিল। এরপর ওই চারজন যুবতী তাঁকে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মাদক সেবন করতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ। ওই শ্রমিকের আরও অভিযোগ, ওই যুবতীরা মদ্যপানও করে এবং তাঁকেও পান করতে বাধ্য করে। এরপর চারজনই পালাক্রমে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে দাবি ওই ব্যক্তির। পরে মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ তাঁকে চোখ-হাত বেঁধে ওই স্থানে ফেলে রেখে যুবতীরা সেখান থেকে চলে যায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ওই ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল যে যুবতীরা, তাঁরা সম্ভবত শিক্ষিত পরিবারের মেয়ে। শ্রমিকের দাবি, তাঁরা নিজেদের মধ্যে ইংরেজিতে কথা বলছিলেন। তবে তাঁর সঙ্গে শুধুমাত্র পঞ্জাবিতেই কথা বলে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এই ঘটনার বিষয়ে একটি স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত শুরু করেছে।