
গুরুগ্রাম: উঠতি টেনিস তারকা রাধিকা যাদবের খুন নিয়ে চলছে বিস্তর জলঘোলা। উঠছে নানা দাবি-অভিযোগ। তবে সে সবে কান দিতে রাজি নয় পুলিশ। তাদের কথায় রাধিকা যাদবের খুনের মামলা ‘ওপেন অ্যান্ড শাট’ কেস। ইতিমধ্যেই তারা চার্জশিট জমা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রবিবার গুরুগ্রাম পুলিশের তরফে জানানো হয়, রাধিকার খুনের তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। রাধিকার বন্ধু বা পরিচিত যারা অনলাইনে পোস্ট করছেন, তাদের কারোর বক্তব্য চার্জশিটে যোগ করা হবে না। ফরেন্সিক রিপোর্ট ও প্রমাণের ভিত্তিতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে আদালতে।
গুরুগ্রামের উঠতি টেনিস তারকা তথা রাজ্য স্তরের খেলোয়াড় রাধিকা যাদব খুনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। মাত্র ২৫ বছর বয়স, সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, তাঁকেই কিনা খুন হতে হল বাবার হাতে। অভিযোগ রাধিকার বাবা পরপর ৫টি গুলি চালান মেয়েকে লক্ষ্য করে, ৩টি গুলি রাধিকার কোমরে লাগে। পরে রাধিকার কাকা ও খুড়তুতো ভাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের কাছে রাধিকার বাবা বলেছিলেন, লোকজন তাঁকে কটাক্ষ করত মেয়ের উপার্জনে খাওয়ার জন্য। রাধিকার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল। সেই রাগ-অপমানেই তিনি এই চরম পদক্ষেপ করেন। যদিও সূত্রের খবর, পুলিশ রাধিকার বাবার বয়ানে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করছে না। তার বয়ানে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে।
গতকালই একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিয়ো সামনে আসে। রাধিকার বন্ধু হিমাংশিকা রাজপুত ইন্সটাগ্রামে ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেন যে রাধিকার বাবা তিনদিন আগেই খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। রাধিকাকে কোনও স্বাধীনতা দেওয়া হত না। ছোট পোশাক পরলে তাঁকে অপমান-হেনস্থা করা হত। এমনকী কোনও ছেলের সঙ্গে কথাও বলতে দেওয়া হত না।