Chandrababu Naidu: ৭ হাজার টাকা পুঁজি থেকে ৬৭৫৫ কোটির ব্যবসা! দেশের সবথেকে ধনী মুখ্যমন্ত্রীর এত সম্পত্তি হল কী করে?

India's Richest CM: সবথেকে ধনী মুখ্যমন্ত্রী হলেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৩১ কোটি টাকা! তবে এত টাকা কোথা থেকে এল জানেন?

Chandrababu Naidu: ৭ হাজার টাকা পুঁজি থেকে ৬৭৫৫ কোটির ব্যবসা! দেশের সবথেকে ধনী মুখ্যমন্ত্রীর এত সম্পত্তি হল কী করে?
এন চন্দ্রবাবু নাইডু।Image Credit source: PTI

|

Aug 24, 2025 | 9:52 AM

নয়া দিল্লি: দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীদের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন? অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম (ADR)-র তথ্য অনুযায়ী, ১৬০০ কোটিরও বেশি। এর মধ্যে সবথেকে ধনী মুখ্যমন্ত্রী হলেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৩১ কোটি টাকা! তবে এত টাকা কোথা থেকে এল জানেন? নাহ, কোনও পৈত্রিক সম্পত্তি বা অসৎ পথে আয় নয়, চন্দ্রবাবুর এই বিপুল সম্পত্তি এসেছে নিজে হাতে তিলে তিলে গড়ে তোলা ব্যবসা থেকে। যে সংস্থার মূল্য এখন ৬৭৫৫ কোটি টাকা।

তিন দশক আগে চন্দ্রবাবু নাইডু তৈরি করেন হেরিটেজ ফুডস লিমিটেড। সেই সময় দেশে ডেয়ারি সেক্টরে সবে শুরু হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগ। ১৯৯২ সালে তিনি যখন ব্যবসা শুরু করেন, তখন তার মূলধন ছিল মাত্র ৭০০০ টাকা।  ১৯৯৪ সালে কোম্পানির আইপিও আসে। ৫৪ গুণ বেশি ওভার সাবস্ক্রাইব হয় তাতে, সেখান থেকেই আয় হয় ৬.৫ কোটি টাকা। বিগত তিন দশকে সেই ব্যবসাই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে ১৭টি রাজ্যে রয়েছে হেরিটেজ ফুডস লিমিটেড। প্রায় ৩ লক্ষ ডেয়ারি ব্যবসায়ীর সঙ্গে অংশীদারিত্ব রয়েছে সংস্থার।

২০০০ সালে যেখানে চন্দ্রবাবুর কোম্পানির টার্নওভার ছিল ১০০ কোটি টাকা, তা ২০২৫ অর্থবর্ষে এসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকায়। ১৯৯৫ সালে হেরিটেজ কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ছিল ২৫ কোটি টাকা। সেখান থেকে ২০২৫-এ তা ৪৫০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল, ৬৭৫৫ কোটি টাকায়।

এদিকে ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতেও পা রাখেন চন্দ্রবাবু নাইডু। অন্ধ্র প্রদেশের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। ২০১৯ সালে নির্বাচনে হারলেও, ২০২৪ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসেন তিনি। যখন সরকারের দায়িত্ব নেন তিনি, সেই সময় ১৯৯৪ সালে তাঁর স্ত্রী নারা ভুবনেশ্বরী ব্যবসার দায়িত্ব নেন। তাঁর নেতৃত্বেই সংস্থার ব্যাপক উত্থান হয়। ১৯৯৪ সালে যেখানে চন্দ্রবাবুর সম্পত্তি ছিল ৯.৯৯ কোটি টাকা, সেই সম্পত্তিই ২০২৫ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৯৭২ কোটি টাকায়।