নয়া দিল্লি: সংস্কৃতি-সভ্যতার মেলবন্ধন থেকে শুরু করে সদস্য দেশগুলির মধ্যে ঐক্যমত, একাধিক উল্লেখ্যযোগ্য মুহূর্তের সাক্ষী রইল জি-২০(G-20 Summit)-র মঞ্চ। সম্মেলনের প্রথম দিনই ‘হিট’। জি-২০-র সভাপতিত্বে ইতিহাস গড়ল ভারত (India)। সর্বসম্মতিতে গৃহীত হল দিল্লি ঘোষণাপত্র (Delhi Declaration)। একদিকে যেমন সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈশ্বিক পারস্পরিক বিশ্বাসের অভাব পূরণের লক্ষ্যে ডাক দেন, তেমনই আবার আমেরিকা, ভারত, সৌদি আরব ও মধ্য় প্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে রেল ও নৌ-সংযোগ নিয়েও চুক্তি সাক্ষরিত হয় জি-২০ সম্মেলনের প্রথমদিনের বৈঠকে।
১. সম্মেলনের শুরুতেই আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-২০র স্থায়ী সদস্য দেশ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকে আলিঙ্গন করে স্বাগত ও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আফ্রিকান ইউনিয়নের জি-২০র স্থায়ী সদস্য হওয়াকে ‘মাইলফলক’ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফেও।
২. জি-২০ সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে সবকা সাথ, সবকা বিকাশের বার্তা। বিশ্ব জুড়ে তৈরি হওয়া বিশ্বাসের সঙ্কট কাটাতে সকলকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে, এমনই বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
৩. আমেরিকা, ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে গৃহীত হল বড় পদক্ষেপ। ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপকে একসঙ্গে জুড়তে রেল ও শিপিং করিডরের চুক্তি সাক্ষরিত হল। এই করিডর স্থায়ী উন্নয়নের দিশা দেখাবে বলেই আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভবিষ্যতে এই করিডর অর্থনৈতিক জোটের জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান তিনি।
৪. জি-২০ সম্মেলনের প্রথম দিনে সর্বসম্মতিতে গৃহীত হল দিল্লি ঘোষণাপত্র। চিন ও রাশিয়াও এই ঘোষণাপত্রে সম্মতি জানায়। আন্তর্জাতিক আইন রক্ষা, সীমান্তে অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা, আন্তর্জাতিক মানবতা আইন রক্ষা এলং শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা গ্রহণের ডাক দেওয়া হয়েছে এই ঘোষণাপত্রে।
৫. পরিশোধিত জ্বালানির ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করা হয় জি-২০ সম্মেলনের প্রথম দিনের বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈশ্বিক জৈব-জ্বালানি জোটের (Global Bio-fuel Alliance) কথা ঘোষণা করেন। এই জোট বিভিন্ন উৎস থেকে জৈব জ্বালানি ব্যবহার করো ‘জিরো এমিশনে’র লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করবে।