অযোধ্যা: কথায় বলা হয়, ‘সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই।’ ভারতীয় সংস্কৃতিতে ‘রামরাজ্য অযোধ্যা’ হল সুশাসনের এক উপমা। সম্প্রতি সেই অযোধ্যায় সাজো সাজো রব। আর কয়েকদিন পরই রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে, তার আগে সেজে উঠেছে গোটা অযোধ্যা। শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে গিয়েছিলেন একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে। রামায়ণ অনুসারে অযোধ্যা নগরীতেই ছিল রাজা দশরথের রাজত্ব। তাঁর সন্তান হিসেবেই জন্মগ্রহণ করেন রাম। এই অযোধ্যা শব্দটিরও এক বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই শব্দের আভিধানিক অর্থ অনেকেই জানেন না।
জানা যায়, সংস্কৃত শব্দ ‘যুধ’ থেকে অযোধ্যা শব্দের উৎপত্তি। অযোধ্যার আভিধানিক অর্থ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইতিহাসবিদরা বলেছেন যে এই শব্দের অর্থ হল অ-যোধ্যা অর্থাৎ যুদ্ধ করে যা জয় করা যায় না। আরও একটি অর্থ হল, যেখানে যুদ্ধ নেই অর্থাৎ যেখানে সর্বদা শান্তি বিরাজ করে।
রাজা ‘আয়ুধ’-এর নাম থেকে অযোধ্যা নাম এসেছিল বলে মনে করা হয়। পৌরাণিক মতে, দশরথ তথা রামের বংশের প্রথম রাজা ছিলেন আয়ুধ। মনে করা হয়, সরযূ নদীর ধারে থাকা এই অঞ্চলের নামকরণ হয়েছিল অযোধ্যার।
বৌদ্ধ, জৈন, শিখদের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ এই অযোধ্যা। জানা যায়, পাশেই শ্রাবস্তীতে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। পাঁচ জৈন তীর্থঙ্করের জন্মও হয়েছিল এই অযোধ্যায়। এছাড়া গুরু নানকও পরিদর্শন করেছিলেন অযোধ্যা।
বর্তমানে নতুন করে সেজে উঠেছে অযোধ্যা। আগামী ২২ জানুয়ারি সেখানে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ৪৬টি নির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন অযোধ্যায়। এই প্রকল্পগুলির জন্য মোট খরচ হচ্ছে ১৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ৮২১ একর জমির উপর তৈরি হয়েছে এয়ারপোর্ট। তার উদ্বোধনও করা হয়েছে এদিন। উদ্বোধন করা হয়েছে ৬ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও দুটি অমৃত ভারত এক্সপ্রেস।