Congress CWC meet: আজ়াদের বাড়িতে জি-২৩ নেতারা, নির্বাচন নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকল কংগ্রেস
Congress CWC meet: শনিবার (২৭ অগস্ট) গুলাম নবি আজ়াদের নয়া দিল্লির বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেসের বিদ্রোহী গোষ্ঠী জি-২৩'র কয়েকজন নেতা। রবিবারই, পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন নিয়ে কার্যকরি সমিতির বৈঠক।

নয়া দিল্লি:
শুক্রবারই কংগ্রেস দল ছেড়েছেন প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজ়াদ। সূত্রের খবর, তার পরদিনই, অর্থাৎ শনিবার (২৭ অগস্ট) তাঁর নয়া দিল্লির বাসভবনে দলত্যাগী এই নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন কংগ্রেসের বিদ্রোহী গোষ্ঠী জি-২৩’র কয়েকজন নেতা। প্রসঙ্গত, জি-২৩ গোষ্ঠীর সবথেকে পরিচিত মুখ ছিলেন আজ়াদই। এদিকে, জি-২৩ গোষ্ঠীর এই তৎপরতার মধ্যেই আগামীকাল, রবিবার, পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের কার্যকরি সমিতির এক বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। সভাপতি নির্বাচনের সূচি নির্ধারিত হতে পারে রবিবারের বৈঠকে।
চিকিৎসার জন্য এখন দেশের বাইরে আছেন সনিয়া গান্ধী। সূত্রের খবর সেখান থেকেই তিনি কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতির বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন। রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটেয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সভা আয়োজিত হবে। সনিয়া গান্ধীর চিকিৎসার জন্য রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাও এখন বিদেশে। মায়ের মতো তাঁরাও ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভায় যোগ দেবেন। পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার নির্বাচনের সূচি নির্ধারণের পাশাপাশি, দলের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা কংগ্রেস কার্যকরি সমিতির সদস্যরা সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের প্রতি তাঁদের আস্থা প্রকাশ করতে পারেন। প্রসঙ্গত, শুক্রবার তাঁর লেখা ইস্তফাপত্রে রাহুল গান্ধীর ‘অপরিণত’ নেতৃত্বকেই দলের পতনের জন্য দায়ী করেছিলেন আজ়াদ।
গত বছরের অক্টোবরে সবাপতি নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। বলা হয়েছিল চলতি বছরের ২১ অগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দলের নতুন সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এতদিন পর্যন্ত এই বিষয়ে দলের তরফে কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি। পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদন অনুসারে, কং সভাপতির নির্বাচনের বিষয়টি কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র কর্মসূচি রয়েছে। তাছাড়া, জাতীয় সভাপতি বাছাইয়ের আগে, প্রদেশ কংগ্রেসগুলির সভাপতি বাছাইয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হতে পারে।
তবে এটা ঠিক যে, বিস্ফোরক পদত্যাগপত্র-সহ আজ়াদের দলত্যাগের পরই নড়ে চড়ে বসল জাতীয় কংগ্রেস। গত কয়েক মাসে কপিল সিব্বল, সুনীল জখর, অমরিন্দর সিং, আরপিএন সিং, অশ্বিনী কুমার-সহ বেশ কয়েকজন বড় নেতা কংগ্রেস দল ছেড়েছেন। তবে আজ়াদের পদত্যাগ এবং তাঁর খোলামেলা চিঠির মতো আঘাত কংগ্রেসের গায়ে পড়েনি। ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আজ়াদের আজাদের ডিএনএ “মোদী-ফাইড” হয়েছের মতো মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতারা। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন শতাব্দী প্রাচীন দলটি এখনও বাস্তবতাকে অস্বীকার করে যাচ্ছে। নির্বাচন হলেও তা শুধুমাত্র লোক দেখানো অনুষ্ঠানে পরিণত হতে পারে। দলের একাধিক প্রবীণ নেতাই ফের রাহুল গান্ধীকেই সভাপতি হিসেবে দেখতে চাইছেন।
