পঞ্জাবের গ্যাংস্টার ভুল্লারের দেহের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত, নির্দেশ আদালতের

Newtown Encounter: গত ৯ জুন দুপুরে নিউ টাউনের সাপুরজি আবাসনে বেঙ্গল এসটিএফের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় পঞ্জাবের দুই 'মোস্ট ওয়ান্টেড' গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীত সিংয়ের।

পঞ্জাবের গ্যাংস্টার ভুল্লারের দেহের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত, নির্দেশ আদালতের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 21, 2021 | 3:54 PM

কলকাতা: দ্বিতীয়বারের আবেদনে সাড়া দিল হাইকোর্ট। পঞ্জাবের গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লারের দেহের ফের ময়না তদন্ত হবে। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল পঞ্জাব হাইকোর্ট। প্রথমবারের ময়না তদন্তের রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করে সপ্তাহ দেড়েক আগে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ভুল্লারের বাবা। তিনি দ্বিতীয়বার পোস্ট মর্টেমের আবেদন জানান। কিন্তু তখন সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল সে রাজ্যের উচ্চ আদালত। এরপর সুপ্রিম কোর্টে যান ভুল্লারের বাড়ির লোকজন। দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, পঞ্জাব হাইকোর্টকে আবেদন শুনতে হবে। সেই আবেদনেরই শুনানি ছিল সোমবার। চণ্ডীগড় পিজিআই হাসপাতালে মঙ্গলবারই দ্বিতীয় ময়না তদন্ত করা হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ৯ জুন দুপুরে নিউ টাউনের সাপুরজি আবাসনে বেঙ্গল এসটিএফের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় পঞ্জাবের দুই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীত সিংয়ের। পঞ্জাব পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই সেদিন তল্লাশি অভিযানে যায় বেঙ্গল পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। টাস্ক ফোর্সের জওয়ানদের এগোতে দেখেই আবাসনের ঘরের ভিতর থেকে গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। তা সত্ত্বেও এগিয়ে যায় পুলিশ। আর তখনই দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হন এসটিএফের ওসি (এক্সপ্লোসিভ) কার্তিক ঘোষ। পুলিশ চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলায় পালানোর পথ পায়নি দুষ্কৃতীরা। মরিয়া হয়ে গুলি চালাতে থাকে তারা। পুলিশ বুঝে যায়, শুধু সাধারণ বন্দুক নয়, আরও অনেক অস্ত্র আছে তাদের কাছে। তখনই পুলিশ পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। আর তাতেই মৃত্যু হয় দুই গ্যাংস্টারের।

আরও পড়ুন: দশম-মূল্যায়ণের শুরুতেই বিপত্তি, সার্ভার ডাউন ইউনিক পোর্টালের

ইতিমধ্যেই ভুল্লারের দেহের ময়না তদন্ত হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে ভুল্লার ও যশপ্রীতের শরীরে গুলির চিহ্ন আছে। এ ছাড়া দুষ্কৃতীদের হাতে গান পাউডারের নমুনা মেলায় তাদের গুলি চালানোর প্রমাণও স্পষ্ট। কিন্তু ভুল্লারের পরিবারের দাবি, দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত হোক। আদালতে ভুল্লারের বাবা এই আবেদন জানিয়েছিলেন সপ্তাহ দেড়েক আগেই। ভুল্লারের বাবার অভিযোগ ছিল, ছেলের দেহে অত্যাচারের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। হাতও ভাঙা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভুল্লারের পাঁজরের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই গ্যাংস্টারের পরিবারের দাবি, এনকাউন্টারের ঘটনাও সাজানো হয়েছিল।