গাজিয়াবাদ: দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের হাড়হিম করা খুনের ঘটীনা নিয়ে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে। কিন্তু এই আবহেই দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের একটি খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। চার বছর আগে ঘটেছিল সেই খুনের ঘটনা। কিন্তু সেই খুনের কিনারা এতদিন করতে পারেনি পুলিশ। সম্প্রতি সেই খুনের কিনারা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজিয়াবাদ পুলিশ। পুলি্শ জানিয়েছে, স্ত্রীর পরকীয়ার জেরেই খুন হতে হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। প্রেমিকের সাহায্যে ওই ব্যক্তিকে খুন করেছিল তাঁর স্ত্রী। এর পর চার বছর ধরে বাড়ির নীচেই পুঁতে রেখেছিল ওই ব্যক্তির দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম চন্দ্র বীর। তাঁর বাড়ি সিকরোদ গ্রামে। ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে খোঁজ মিলছিল না ওই ব্যক্তির। খোঁজ না পাওয়ায় পুলিশে্র কাছে একটি অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সিহানি গেট থানায় সেই অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন খোঁজ খবর না পাওয়ায় বন্ধ হয়েছিল ওই মামলা। মামলা সংক্রান্ত নতুন তথ্য সম্প্রতি পুলিশের হাতে আসে। তখন নতুন করে মামলার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
সেই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে চন্দ্র বীরের স্ত্রী সবিতা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। অনিল কুমার নামের এক প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। চন্দ্র বীর অনিল এবং সবিতাকে বেশ কয়েক বার আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। এর পর সবিতাকে মারধরও করেছিল চন্দ্রবীর। ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন চন্দ্রবীর। তখন সবিতা অনিলকে তাঁর বাড়িতে ডাকেন। তখন দেশি পিস্তল দিয়ে চন্দ্র বীরের কপালে গুলি করেন অনিল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চন্দ্র বীরের। এর পর অনিল তাঁর নিজের বাড়িতেই ৬ ফুটের গর্ত তৈরি করেন। সেখানে চন্দ্র বীরের দেহ পুঁতে দেন।
ঘটনা নিয়ে গাজিয়াবাদ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) দীক্ষা শর্মা বলেছেন, “মৃতের দেহ তাঁর স্ত্রীর প্রেমিকের বাড়ি থেকে উদধার হয়েছে। পাশাপাশি গর্ত খুঁড়তে ব্যবহৃত কুঠার এবং পিস্তলও পাওয়া গিয়েছে।” অভিযুক্ত সবিতা এবং অনিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই অফিসার।