Gita Press: গীতা প্রেসকে ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ কেন্দ্রের, পুরস্কার বাবদ ১ কোটি টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত সংস্থার

Gita Press awarded Gandhi Peace Prize 2021: ২০২১ সালের 'গান্ধী শান্তি পুরস্কার' পাচ্ছে উত্তর প্রদেশের গোরখপুরের শতাব্দী প্রাচীন প্রকাশনা সংস্থা, গীতা প্রেস। গীতা প্রেসকে এই পুরস্কার দেওয়া 'হাস্যকর' বলেছে জাতীয় কংগ্রেস।

Gita Press: গীতা প্রেসকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার কেন্দ্রের, পুরস্কার বাবদ ১ কোটি টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত সংস্থার
গীতা প্রেস

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jun 19, 2023 | 2:28 PM

নয়া দিল্লি: ২০২১ সালের ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ পাচ্ছে উত্তর প্রদেশের গোরখপুরের শতাব্দী প্রাচীন প্রকাশনা সংস্থা, গীতা প্রেস। রবিবার এই কথা জানিয়ে, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক বলেছে, “অহিংসা এবং অন্যান্য গান্ধীবাদী পন্থায় সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গীতা প্রেস-কে এই সম্মান জানানো হচ্ছে।” ১৯৯৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার, মহাত্মা গান্ধীর আদর্শকে শ্রদ্ধা জানাতে গান্ধী শান্তি পুরস্কার প্রদান শুরু করেছিল। এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে একটি শংসাপত্র, একটি ফলক এবং একটি ভারতীয় ঐতিহ্যের হস্তশিল্প বা হ্যান্ডলুমের তৈরি জিনিস উপহার দেওয়া হয়। এর আগে ইসরো, রামকৃষ্ণ মিশনের মতো বড় সংস্থা এই পুরস্কার পেয়েছে। ২০২১ সালের জন্য এই পুরস্কার প্রাপক হিসেবে গীতা প্রেসকে বেছে নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন জুরি কমিটি। তবে, গীতা প্রেসকে এই পুরস্কার দেওয়া ‘হাস্যকর’ বলেছে জাতীয় কংগ্রেস। এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এদিন গীতা প্রেস জানিয়েছে, পুরস্কার বাবদ ১ কোটি টাকার নগদ অর্থ তারা নেবে না।

রবিবার (১৮ জুন), এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক বলেছে, “শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে গান্ধীবাদী আদর্শের প্রচারে গীতা প্রেসের অবদানের কথা স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, শতবর্ষ পূর্তিতে গীতা প্রেসকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার প্রদান, সমাজের সেবায় প্রতিষ্ঠানটির যে কাজ করেছে, তার স্বীকৃতি।” এই পুরস্কার ঘোষণার পরই, টুইট করে গীতা প্রেসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, “২০২১ সালের গান্ধী শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য আমি গোরখপুরের গীতা প্রেসকে অভিনন্দন জানাই। তারা গত ১০০ বছর ধরে, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তরা প্রশংসনীয় কাজ করেছে।” অভিনন্দন জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। তিনি টুইট করেছেন, “২০২১ সালের ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ পাওয়ার জন্য ভারতের সনাতন ধর্মের ধর্মীয় সাহিত্যের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র গোরখপুরের গীতা প্রেসকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”

জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যদিও গীতা প্রেসকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সমালোচনা করা হয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে হাস্যকর বলেছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মিডিয়া ইনচার্জ জয়রাম রমেশ বলেছেন, “২০১৫ সালে অক্ষয় মুকুল এই সংস্থার একটি সুন্দর জীবনী লিখেছিলেন। সেখানে তিনি মহাত্মার সাথে এই প্রতিষ্ঠানের খারাপ সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামাজিক ক্ষেত্রে গান্ধীর সঙ্গে তাদের লড়াইয়ে দিকগুলি উন্মোচন করেছেন। কাজেই সরকারের এই সিদ্ধান্তটি সত্যিই হাস্যকর এবং এটা সাভারকর ও গডসেকে পুরস্কৃত করার সামিল।”

১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল গীতা প্রেসের। এটি, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রকাশনা সংস্থা। সব মিলিয়ে ১৪টি ভাষায় ৪১.৭ কোটি বই প্রকাশ করেছে এই সংস্থা। এর মধ্যে শ্রীমদ ভগবদ গীতাই ছাপা হয়েছে ১৬.২ কোটি! সোমবার তারা জানিয়েছে, গান্ধী পুরস্কারের ১ কোটি টাকার নগদ পুরস্কার তারা নেবে না। প্রকাশনা সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র স্বীকৃতি গ্রহণ করবে। নগদ পুরস্কারের টাকা সরকারের অন্য কোথাও ব্যয় করা উচিত বলে, জানিয়েছে তারা। প্রতি বছরই এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এর আগে ২০২১ সালে ২০১৯ এবং ২০২০ সালের পুরস্কার প্রাপক হিসেবে যথাক্রমে ওমানের প্রাক্তন সুলতান কুবুস বিন সইদ আল সইদ এবং বাংলাদেশের জাতির জনক মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।