কোচি: বিমান বন্দরে যাত্রীর থেকে সোনা উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। কখনও কোকো পাউডারের মধ্যে গুঁড়ো আকারে মিশিয়ে বা আবার কখনও সোনার পেস্ট তৈরি করে সোনা পাচার করতে আগেও দেখা গিয়েছে। এই উপায় অবলম্বন করে দেশে সোনা আনতে গিয়ে বিমানবন্দরে শুল্ক আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনেক যাত্রীই। এবার সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক বিমানকর্মী। কোচি বিমানবন্দরে বুধবার প্রায় দেড় কেজি সোনা সমেত এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) এক কেবিন ক্রুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার ওই কর্মী সাফি কেরলের ওয়ানাডের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। শুল্ক দফতরের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, বাহরেইন-কোঝিকোড়-কোচি পরিষেবার এক কেবিন ক্রু সোনা নিয়ে আসছেন। আর সেই সূত্র ধরেই কোচিন বিমানবন্দরে সেই বিমান অবতরণের পরই সাফিকে আটক করে তল্লাশি চালায় শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা। সাফির লুকিয়ে সোনা আনার পরিকল্পনাও ছিল দুর্দান্ত। তিনি ভেবেছিলেন, হাতের মধ্যে সোনা পেচিয়ে তারপর শার্ট দিয়ে ঢেকে দেবেন এবং গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বেরিয়েও যাবেন। পরিকল্পনা মতোই কাজ করেছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হল না। শুল্ক দফতরের নজর এড়িয়ে বিমানবন্দরের বাইরে সেই সোনা নিয়ে বেরিয়ে যেতে পারলেন না এই বিমানকর্মী। ১,৪৮৭ গ্রাম সোনা সমেত ধরা পড়ে গেলেন।
এদিকে গত বুধবারই দুই যাত্রীকে চেন্নাই বিমানবন্দরে আটক করে চেন্নাই শুল্ক বিভাগ। তাঁদের কাছ থেকে প্রায় ৬.৮ কেজি সোনা পাওয়া গিয়েছিল। যার মূল্য ৩.৩২ কোটি টাকা। চেন্নাই শুল্ক বিভাগের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, ওই দুই যাত্রী সিঙ্গাপুর থেকে AI347 ও 6E-52 বিমানে করে চেন্নাইয়ে এসেছিলেন। এই ঘটনার পর এবার খোদ বিমানকর্মীর থেকেই উদ্ধার হল প্রায় দেড় কেজি সোনা। কবে কোথা থেকে এই সোনা আনলেন সাফি সেইসব উত্তর খোঁজার জন্য এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এই এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীকে।