নয়া দিল্লি: খোলা বাজারে সেরামের কোভিশিল্ডের (Covishield) দাম ১০০০ টাকা প্রতি ডোজ়। কিন্তু ভারত সরকারকে ২০০ টাকার ‘বিশেষ দামে’ করোনা টিকা তুলে দেবে সেরাম। সংবাদ মাধ্যমে সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, প্রথম ১০ কোটি ডোজ় ভারত সরকার পাবে ২০০ টাকায়। আজ সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ল। সেরামকে ইতিমধ্যেই প্রথম পর্বে ২০০ টাকার ১ কোটি ১০ লক্ষ ডোজ় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেরামের হাব থেকে বেরোতে শুরু করবে টিকা। ১৬ জানুয়ারি টিকাকরণ শুরু হবে সারা দেশে। প্রতি সপ্তাহে কয়েক লক্ষ টিকা বেরোবে সেরাম থেকে। প্রথম পর্বে টিকা পাবেন ৩০ কোটি ভারতীয়। যেখানে প্রাধান্য দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধাদের এরপর করোনা টিকা পাবেন গুরুতর আক্রান্ত বয়স্করা।
দেশে এখন অনুমোদন-প্রাপ্ত টিকার সংখ্যা দুই। প্রথমটি সেরামের তৈরি অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। দ্বিতীয়টি ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভ্যাকসিন। তবে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন পেলেও কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের অনুমোদনে ফারাক রয়েছে। কোভ্যাকসিনের অনুমোদন হল ‘ক্লিনিক্যাল মোডে অনুমোদন।’ অর্থাৎ কোভ্যাকসিন প্রাপকদের ট্রায়ালের অংশ হিসাবেই ধরা হবে। কীভাবে ভ্যাকসিন হাব থেকে মানুষের কাছে করোমা টিকা পৌঁছবে, তার রোডম্যাপ আগেই প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: ‘নেতাজী কমিটিতে’ নেই তাঁরই হাতে গড়া ফরওয়ার্ড ব্লকের কোনও সদস্য!
প্রথমে ভ্যাকসিন হাব থেকে আকাশ পথে ভ্যাকসিন পৌঁছবে কেন্দ্রীয় টিকা সংরক্ষণ কেন্দ্রে। সেখান থেকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে বিভিন্ন রাজ্যের টিকা সংরক্ষণ কেন্দ্রে পৌঁছবে করোনা প্রতিষেধক। রাজ্য থেকে মারণ ভাইরাসের টিকা যাবে জেলা সংরক্ষণ কেন্দ্রে। জেলা সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সাব সেন্টারে পৌঁছে যাবে করোনা প্রতিষেধক। সাব সেন্টারের সেশন সাইটে উপযুক্ত প্রমাণপত্র দেখালে তবেই হবে টিকাকরণ।