গায়ে একটা সুতো নেই, অন্য যুবককে জড়িয়ে পাত্রী যা করছিল… পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল হবু বরের
Illicit Relation: পাত্রীর বাবা এসে কার্যত হাতে-পায়ে ধরেন। তবুও বিয়ে করতে নারাজ যুবক। এদিকে, গোটা ঘটনায় হতবাক আগত অতিথিরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশে গড়ায় বিষয়টি। পুলিশ এসে জিজ্ঞাসা করে, কেন মণ্ডপে আসার পর বিয়ে করতে অস্বীকার করছে যুবক? তখন ওই যুবক হোয়াটসঅ্যাপ খুলে দেখায়।
লখনউ: বিয়ের দিন। ব্য়ান্ডপার্টি, বরযাত্রী নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল পাত্র। আশীর্বাদও হয়ে গিয়েছিল। মণ্ডপে বসে পড়েছিল পাত্র, হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপে এল একটা মেসেজ। আর সেটা দেখেই পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে গেল। সাত পাক নিতেই অস্বীকার করল পাত্র। কী এমন মেসেজ এসেছিল?
মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের আমরোহার আদমপুর এলাকায় বসেছিল বিবাহ আসর। লগ্ন মেনেই মণ্ডপে হাজির হয়েছিল বর। পাত্রীকে আনার অপেক্ষা শুধু, এমন সময়ই পাত্রের হোয়াটসঅ্যাপে এসেছিল একটা মেসেজ। বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সেই মেসেজ প্রথমে দেখেওনি পাত্র। এক যুবক এসে তাঁকে কানে কানে বলে, হোয়াটসঅ্যাপ চেক করতে। আর তাতে যা দেখা গেল, মণ্ডপ থেকে তৎক্ষণাত উঠে পড়ল পাত্র। জানিয়ে দিল, এই বিয়ে সে করবে না।
পাত্রীর বাবা এসে কার্যত হাতে-পায়ে ধরেন। তবুও বিয়ে করতে নারাজ যুবক। এদিকে, গোটা ঘটনায় হতবাক আগত অতিথিরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশে গড়ায় বিষয়টি। পুলিশ এসে জিজ্ঞাসা করে, কেন মণ্ডপে আসার পর বিয়ে করতে অস্বীকার করছে যুবক? তখন ওই যুবক হোয়াটসঅ্যাপ খুলে দেখায়। তাতে দেখা যায়, পাত্রীর আপত্তিকর ছবি। অন্য এক যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ভি়ডিয়োও এসেছিল পাত্রের মোবাইলে। সেই ছবি ও ভিডিয়ো দেখেই বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পাত্র। খালি হাতেই ফিরে যায় বরযাত্রীরা।
ঘটনার পর পাত্রীর বাবা গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার অভিযোগে থানায় এফআইআর দায়ের করেন। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।