Wedding Ceremony: সামনে পেয়েই চুমু! এ কী কাণ্ড! একেবারে রক্তারক্তি শুরু বিয়েবাড়িতে, হাসপাতালে ছুটতে হল আত্মীয়দের
Wedding Ceremony: বিয়ে না করেই পাত্র ফিরে গেলেন বাড়ি। তবে এখানেই এপিসোড শেষ নয়। সবাই যখন রাতের অন্ধকারে ব্যস্ত, তখন লেহেঙ্গা পরেই পাত্রী সবিতা বেরিয়ে পড়লেন বাড়ি থেকে।

হাপুর: পরিকল্পনা মতোই সব চলছিল। বিয়ের মণ্ডপ তৈরি, ছাতনাতলাও তৈরি। বরযাত্রী-কনেযাত্রীতে ভরে আছে মণ্ডপ। কনের গায়ে লাল লেহেঙ্গা, বরের পরণে ম্যাচিং করা শেরওয়ানি আর পাগড়ি। একদিকে ঢোল বাজিয়েদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন বরের বাবা। মালাবদলও হল। তারপরই হঠাৎ বদলে গেল বিয়েবাড়ির ছবিটা। বিয়ে না যুদ্ধ! দেখে বোঝার উপায় নেই। কিন্তু হল টা কী?
পাত্রের নাম দীপাংশু। সেজেগুজে ছাতনাতলায় গিয়ে মালাবদলের পরই একটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন তিনি। দীর্ঘদিনের সোজা পাত্রীর কপালে চুমু। ব্যস! সঙ্গে সঙ্গে চীৎকার করে উঠলেন কনেপক্ষের এক আত্মীয়।
এরপর ক্রমে সবাই প্রতিবাদ করতে শুরু করলেন। এপাশ-ওপাশ ছুড়ে ফেলা হল চেয়ার, খেলনার মতো ফেলা হল খাবারের প্লেট, জুসের গ্লাস। কে কাকে ঘুষি মারছে, তা বোঝারও উপায় নেই। বিয়ের তখন কোথায় কী! কেউ ছুটলেন থানায়, কেউ ছুটলেন আহত অবস্থায় হাজির হাসপাতালে। উত্তর প্রদেশের হাপুরের ঘটনা।
বিয়ে না করেই পাত্র ফিরে গেলেন বাড়ি। তবে এখানেই এপিসোড শেষ নয়। সবাই যখন রাতের অন্ধকারে ব্যস্ত, তখন লেহেঙ্গা পরেই পাত্রী সবিতা বেরিয়ে পড়লেন বাড়ি থেকে। সোজা হাজির হলেন পাত্রের বাড়িতে। সেখানেই সম্পন্ন হল বিয়ে।
জানা গিয়েছে, সবিতা ও দীপাংশুর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দুজনের বাড়ির দূরত্বও কম নয়। কিন্তু একটা চুম্বনের ওজন যে এত বেশি হবে, তা তাঁরা বুঝতে পারেননি।
ঘটনার পর দু পক্ষের আত্মীয়দের বেশ কয়েকজনকে আটক করেছিল পুলিশ। সবিতার এক আত্মীয় বলেন, দিল্লি-নয়ডার মতো বড় শহরে এমনটা হতেই পারে, তবে গ্রামে এসব হয় না। ঘটনায় অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তবে এভাবে চুম্বনের সাফাইও দিয়েছে পাত্রের পরিবার। তাদের দাবি, ফটোগ্রাফারদের কথা মতো পোজ দিতে আজকাল এমন অনেক কিছুই করতে হয়।
