Gujarat: BSF ও নৌসেনার স্পর্শকাতর তথ্য পাকিস্তানের এজেন্টকে পাচার, গুজরাটে ধৃত ব্যক্তি
Gujarat: এটিএস-র তরফে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের জন্য গত ১ মে গোহিলকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, ২০২৩ সালের জুন-জুলাইয়ে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ হয় গোহিলের।

আহমেদাবাদ: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার বিএসএফ ও ভারতীয় নৌসেনার স্পর্শকাতর তথ্য পাকিস্তানে পাচারের অভিযোগে গুজরাটের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল। ধৃত ব্যক্তির নাম সহদেব সিং গোহিল।
গুজরাট এটিএস-র এসপি কে সিদ্ধার্থ বলেন, “ধৃত সহদেব সিং গোহিল একজন স্বাস্থ্যকর্মী। কচ্ছ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের কাছে খবর ছিল যে তিনি পাকিস্তানের এক এজেন্টকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করেছেন।”
এটিএস-র তরফে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের জন্য গত ১ মে গোহিলকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, ২০২৩ সালের জুন-জুলাইয়ে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ হয় গোহিলের। গুজরাট এটিএস-র এসপি বলেন, “কথা বলে গোহিল জানতে পারেন, ওই মহিলা পাকিস্তানের এজেন্ট। বিএসএফ ও নৌসেনার নির্মীয়মাণ কিংবা সদ্য নির্মিত সাইটের ছবি চান ওই মহিলা। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সেইসব ছবি পাঠাতে শুরু করেছিলেন গোহিল।”
চলতি বছরের শুরুতে নিজের আধার কার্ড ব্যবহার করে একটি সিমকার্ড কিনেছিলেন গোহিল। কে সিদ্ধার্থ জানান, ২০২৫ সালের শুরুতে ওই সিমকার্ডটি নেন তিনি। ওই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপও অ্যাক্টিভ করেন। ওটিপি-র সাহায্যে ওই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতেন পাকিস্তানি এজেন্ট। ওই নম্বরেই ফোটো ও ভিডিয়ো পাঠাতেন ধৃত গোহিল। গুজরাট এটিএস জানিয়েছে, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গোহিলকে ৪০ হাজার টাকা নগদ দিয়েছিল। ওই ব্যক্তি গুপ্তচরবৃত্তির নেটওয়ার্কের অংশ বলে সন্দেশ গোয়েন্দাদের।
গোহিলের ফোন ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। গুজরাট এটিএস-র এসপি জানান, অদিতির নামে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি পাকিস্তান থেকে পরিচালনা করা হত। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় গোহিল ও পাকিস্তানি এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

