Gujarat: পাচারকারীর মলদ্বার থেকেই লুঠ ৫০ লক্ষ টাকার সোনার ক্যাপসুল!

Gujarat: আক্ষরিক অর্থেই চোরের উপর বাটপারি! দুবাই থেকে মলদ্বারে লুকিয়ে সোনা এনেছিল গুজরাটের এক পাচারকারী। বিমানবন্দরের বাইরে সেই সোনা লুঠে নিল প্রতারকের দল।

Gujarat: পাচারকারীর মলদ্বার থেকেই লুঠ ৫০ লক্ষ টাকার সোনার ক্যাপসুল!
এই রকম ক্যাপসুল আকারেই মলদ্বারে লুকিয়ে সোনা এনেছিল দানিশ শেখ (প্রতীকী ছবি)Image Credit source: ANI

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 12, 2023 | 4:33 PM

আহমেদাবাদ: আক্ষরিক অর্থেই চোরের উপর বাটপারি! দুবাই থেকে মলদ্বারে লুকিয়ে সোনা পাচার করছিল গুজরাটের এক ব্যক্তি। বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের কর্তাদের সহজেই ধোকা দিয়েছিল সে। কিন্তু, তার উপর যে আরও এক পাচারকারী দলের নজর ছিল, তা সে জানত না। নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে, তাকে মারধর করে, মলদ্বারের ভিতর লুকিয়ে আনা সেই সোনা তারা ডাকাতি করে পালিয়েছে দ্বিতীয় দলটি।

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ অক্টোবর। ৯ অক্টোবর থেকে চোরাপথে সোনা আনার জন্য দুবাই গিয়েছিল ভদোদরার বাসিন্দা দানিশ শেখ। তার যাতায়াতের টিকিট, দুবাইয়ে থাকার খরচ, সবই দিয়েছিল ভদোদরায় তার পরিচিত এক ব্যক্তি। সোনা পাচারের জন্য তাকে ২০,০০০ টাকাও দেওয়া হয়েছিল। ২৮ অক্টোবর দুবাই থেকে আহমেদাবাদে ফিরেছিল সে। মলদ্বারে, ক্যাপসুল আকারে লুকিয়ে ৮৫০ গ্রাম ওজনের সোনা এনেছিল সে। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছিল সে। শুল্ক বিভাগের কর্তারা ধরতে পারেননি, তার মলদ্বারে সোনার ক্যাপসুল লোকানো আছে।

এরপর, নিশ্চিন্ত মনে বিমানবন্দরের বাইরে এসে ভদোদরা যাওয়ার জন্য একটি ভ্যানে চড়তে গিয়েছিল দানিশ শেখ। সেই সময়ই দ্বিতীয় পাচারকারীদের খপ্পরে পড়েছিল সে। দুই ব্যক্তি তার কাছে এসে বলেছিল, তারা পুলিশের সন্ত্রাস-বিরোধী শাখার সদস্য। তারা জানে সে চোরাচালান করা সোনা নিয়ে যাচ্ছে।

এরপর, দানিশকে ওই দুই ব্যক্তি একটি ভ্যানে তুলেছিল। ভ্যানে আগ থেকেই আরও দুই ব্যক্তি ছিল। মাঝপথে দানিশ শেখকে ভ্যানটি থেকে নামিয়ে তাকে আরেকটি গাড়িতে তোলা হয়। এরপর, গাড়ি যায় একটি বহুতল ভবনে। দানিশ শেখকে দশ তলার এক ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং জোর করে তার মলদ্বার থেকে সোনার ক্যাপসুলগুলি বের করা হয়। দানিশ শেখের মলদ্বারে যে সোনা ছিল, তার মোট মূল্য পরায় ৫০ লক্ষ টাকা। এরপর, দানিশকে একটি অটোরিকশায় করে নিয়ে গিয়ে এক বাস স্টেশনে নামিয়ে দেয় দ্বিতীয় দলের লোকজন।

প্রথমে পুলিশে যেতে দোনোমোনো করলেও, পরে পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানায় দানিশ। পাচার করা সোনা, লুঠের বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেছে সে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারতে সোনা চোরাচালানের পিছনে বেশ কয়েকটি বড় গ্যাং রয়েছে। দানিশের মতো সাধারণ মানুষকে প্রায়শই তারা বাহক হিসেবে কাজে লাগায়। সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে এই গ্যাংগুলো বাহকদের দিয়ে তাদের দেহ, পোশাক বা মালপত্রের ভিতর লুকিয়ে সোনা পাচার করায়। মহিলা বা, অপরাধের কোনও ইতিহাস নেই, এমন লোকদের এই কাজে বেশি লাগানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, যেহেতু বেশ কয়েকটি গ্যাং এই সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত, তাই কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর পক্ষে পাচার করা সোনা চুরি করা অস্বাভাবিক নয়। কোন গ্যাংয়ের কে, কখন সোনা পাচার করছে, পুলিশের থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলির কাছে তার বেশি খবর থাকে।