গান্ধীনগর : মাংস নিয়ে এবার তরজা পৌঁছল হাইকোর্টে। জৈন উৎসবের কারণে স্থানীয় কসাইখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে। অগস্টের ২৪ থেকে ৩১ অবধি এবং সেপ্টেম্বর ৪ থেকে ৯ অবধি কসাইখানা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাট হাই কোর্টের দ্বারস্থ একটি গ্রুপ। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আবেদনকারীদের কিছুদিনের জন্য মাংস না খাওয়ার পরমার্শ দিল গুজরাট হাই কোর্ট।
আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়েছে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করে, কুল হিন্দ জামাইত-আল কুরেশ অ্য়াকশন কমিটি। তাঁদের অভিযোগ, কসাইখানা বন্ধের এই নির্দেশ ব্য়ক্তির খাদ্যের অধিকারকে খর্ব করে। আবেদনকারীর এই দাবির প্রেক্ষিতে বিচারপকি সন্দীপ ভাট বলেছেন, ‘এক বা দুই দিনের জন্য আপনি মাংসা খাওয়া বন্ধ রাখতে পারেন।’ এর প্রেক্ষিতে আবেদনকারীদের মধ্যে একজন বলেছেন, ‘এটা আমাদের সংযত করার বিষয় নয় বরং এটা মৌলিক অধিকারের বিষয়। এক মিনিটের জন্যও আমাদের দেশকে কল্পনা করতে পারি না যেখানে মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এর আগেও কসাইখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
আবেদনকারী আরও জানিয়েছেন,’আহমেদাবাদ শহরে একটিমাত্র কসাইখানা রয়েছে। সেটাও জৈন উৎসব উপলক্ষে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’ এদিন আবেদনকারীর তরফে ২০২১ সালের হাই কোর্টের একটি নির্দেশের উল্লেখ করেন। রাস্তায় ডিম সহ একাধিক আমিষ পণ্যের দোকান বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্য়াল কর্পোরেশনের তরফে। সেই সময় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ জানিয়েছিল, মানুষের খাদ্য়াভ্য়াস নির্ধারণ করার অধিকার নেই এএমসির। তবে এদিনের মামলায় এখনও এদিন হাইকোর্টের তরফে কোনও জবাব পাওয়া যায়নি। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি শুক্রবার হবে বলে জানিয়েছে আদালত।