Best Bakery Case: গুজরাটে বেস্ট বেকারি হত্যা মামলায় দুই অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিল মুম্বইয়ের দায়রা আদালত
Best Bakery Case: ২০০২ সালের গুজরাট হিংসার সময় হামলার মুখে পড়েছিল ভদোদরার বিখ্যাত বেস্ট বেকারি। সেই ঘটনার অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার বেকসুর খালাস দিল মুম্বইয়ের এক দায়রা আদালত।

মুম্বই: ২০০২ সালের গুজরাট হিংসার সময় হামলার মুখে পড়েছিল ভদোদরার বিখ্যাত বেস্ট বেকারি। ১০০০-এরও বেশি মানুষ হামলা চালিয়েছিল। নিহত হয়েছিলেন ১৪ জন। মঙ্গলবার (১৩ জুন) সেই মামলায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস দিল মুম্বইয়ের এক দায়রা আদালত। গুজরাট পুলিশ বেস্ট বেকারি হত্যা মামলায় ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। ২০০৩-এ অবশ্য ভদোদরার এক আদালত সমস্ত অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস দিয়েছিল। ২০০৪-এ সুপ্রিম কোর্ট গুজরাটের বাইরে এই মামলার পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল। মুম্বইয়ে যখন এই মামলার পুনর্বিবেচনার মামলা চলছিল, সেই সময় অন্য অভিযুক্তদের বিচার হলেও পলাতক ছিলেন দুই অভিযুক্ত – হর্ষদ সোলাঙ্কি এবং মাফাত গোহিল। ২০১৩ সালে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ২০১৯ সাল থেকে তাঁদের আলাদা বিচার শুরু হয়। সেই মামলাতেই এদিন দুজনকে যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল আদালত।
ভদোদরার আদালত বেস্ট বেকারি মামলার সমস্ত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার বিচার সুষ্ঠুভাবে করা হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। গুজরাটে এই মামলাকে প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ফলে সুপ্রিম কোর্ট গুজরাটের বাইরে এই মামলার পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল। মুম্বইয়ের এক দায়রা আদালতে বিচারক অভয় থিপসের (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এজলাসে মামলাটির ফের শুনানি হয়। ২১ জনের মধ্যে ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক অভয় থিপসে। তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি ১২ জনকে তিনি বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন। দোষী সাব্যস্ত ৯ জন বোম্বে হাইকোর্টে দায়রা আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। ২০১২ সালে হাইকোর্ট, ৯ জনের মধ্যে পাঁচজনকে খালাস দিয়েছিল। বাকি চারজনের শাস্তি বহাল ছিল। ভদোদরার আদালতে হাজিরা দিলেও মুম্বইতে মামলার পুনর্বিবেচনার সময় পলাতক ছিলেন হর্ষদ সোলাঙ্কি এবং মাফাত গোহিল।
পরে তাঁদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়। ২০১৮ সালে তাঁরা দুজনেই জামিনের আবেদন করেছিলেন। দাবি করেছিলেন, মামলাটির যে আবার বিচার শুরু হয়েছে, তা তাঁরা জানতেনই না। তবে, তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। তাঁদের দুজনের আলাদা বিচার শুরু হয়েছিল। মুম্বইয়ের দায়রা আদালতে যে প্রমাণগুলি উঠে এসেছিল, সেই সবই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে তাঁদের শনাক্তকরণের জন্য সাক্ষীদের ফের ডাকা হয়েছিল। বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মঞ্জুলা রাও ১০ জন সাক্ষীকে জেরা করেছিলেন। তবে গত বছর, এই সাক্ষীরা তাঁদের শিখিয়ে দেওয়া বুলি আওড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন হর্ষদ সোলাঙ্কি। গুজরাট পুলিশের হাতে সমাজকর্মী তিস্তা সেতলওয়ার গ্রেফতার হওয়ার পর সাক্ষীদের শিক্ষাদানে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সোলাঙ্কি। মামলাটি তিনি অন্য এক অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের এজলাসে স্থানান্তরের আবেদন করেছিলেন। তবে, তাঁর আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। এদিন, অভিযুক্তদের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেই আদালত তাঁদের মুক্তি দিয়েছে।
