‘সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ কি গাড়ি চাপা দিয়ে বলে অ্যানাদার রাউন্ড?’ জরিমানায় কিছু হবে না, অভিযুক্ত যুবকের কড়া শাস্তি চাইল আহতরা

Vadodara Car Accident: অভিযুক্ত যুবকের দাবি, সে মদ্য়প ছিল না। মজার জন্যই দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়, বরং গাড়ির এয়ারব্যাগ খুলে যাওয়ার কারণেই সে দেখতে পায়নি এবং দুর্ঘটনা ঘটে।

সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ কি গাড়ি চাপা দিয়ে বলে অ্যানাদার রাউন্ড? জরিমানায় কিছু হবে না, অভিযুক্ত যুবকের কড়া শাস্তি চাইল আহতরা
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি এবং অভিযুক্ত চালক।Image Credit source: X

|

Mar 17, 2025 | 12:01 PM

আহমেদাবাদ: রাতের শহরে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল। চলছিল এনজয় ট্রিপ। আর তাতেই প্রাণ খোয়াতে হল নিরাপরাধ এক মহিলাকে। গুরুতর আহত আরও আটজন। বছর কুড়ির রক্ষিত চৌরাসিয়া নামক ওই যুবক গাড়ি দিয়ে পরপর ধাক্কা মারে স্কুটি ও চারটি গাড়িতে। তবে যে ঘটনা সবাইকে অবাক করেছে, তা হল মহিলাকে গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়ার পর ওই যুবক গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার করছিল, “অ্যানাদার রাউন্ড, অ্য়ানাদার রাউন্ড”। যুবকের ওই অস্বাভাবিক আচরণে স্তম্ভিত সবাই। সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ কি এমন আচরণ করতে পারেন?

অভিযুক্ত যুবকের দাবি, সে মদ্যপ ছিল না। মজার জন্যই দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়, বরং গাড়ির এয়ারব্যাগ খুলে যাওয়ার কারণেই সে দেখতে পায়নি এবং দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে, যারা ওই যুবকের গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন, তাদের বয়ান সম্পূর্ণ আলাদা। বিকাশ কেওয়ালানি নামক এক যুবক, যার হাতের কনুই ভেঙে গিয়েছে দুর্ঘটনায়, তার দাবি, অভিযুক্তকে দেখেই মনে হচ্ছিল সে নেশা করে রয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবেই গাড়ির গতি বাড়িয়েছিল ওই যুবক।

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিকাশ বলেছেন যে অভিযুক্তের কড়া শাস্তির প্রয়োজন। এরা নিজেদের অপরাধ তবেই বুঝতে পারবে। তিনি বলেন, “আমরা স্কুটারে ছিলাম, হঠাৎ পিছন থেকে এসে গাড়িটা ধাক্কা মারে। আমি ছিটকে পড়ি। দেখি পরপর গাড়িতে ধাক্কা মেরে হাওয়ায় উড়ল গাড়িটা।”

অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি করে তিনি বলেন, “শুধু জরিমানা করে এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। জরিমানা কোনও সমাধান নয়। কড়া শাস্তি পেলে তবেই এরা নিজেদের অপরাধটা বুঝবে। আমার ভাই-বোন আহত হয়েছে, ফ্রাকচার হয়েছে। আমার হাতের কনুই ভেঙে গিয়েছে। ওঁকে (অভিযুক্ত) দেখেই মনে হচ্ছিল নেশাগ্রস্ত, আনন্দের জন্য এরকম করছে। সুস্থ অবস্থায় কেউ এরকম কাজ বা এই কথা বলতে পারে না।”

অভিযুক্তের দাবি, দুর্ঘটনার সময় সে মত্ত ছিল না। হোলির জন্য শুধু একটু ভাং খেয়েছিল। গাড়ি ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার স্পিডে চালাচ্ছিল। হঠাৎই দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মৃতার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করার আবেদন জানিয়েছে।