
লখনউ: উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার হালাল প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি এই মর্মে সরকারি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, হালাল সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত যে কোনও পণ্য উৎপাদন, মজুত ও বণ্টন ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে সে রাজ্যে। যদিও হালাল সার্টিফায়েড পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকারের গত সপ্তাহের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার আদালতে যাচ্ছে হালাল ট্রাস্ট। সংস্থার সিইও নিয়াজ় আহমেদ এদিন বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে একটি বিবৃতিতে উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, শুধুমাত্র হালাল সার্টিফিকেট না থাকার কারণে অনেকক্ষেত্রে কোনও পণ্য কিনতে নিরুৎসাহিত করার পরিকল্পনা চলছে। শুধুমাত্র অন্যায্যভাবে আর্থিক সুবিধা পাওয়া ও সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করার জন্যই এই ধরনের চেষ্টা চলছে। এই ধরনের কৌশল ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ বলেও মনে করছে সে রাজ্যের সরকার।
উত্তর প্রদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র আপত্তি জানিয়েছে হালাল ট্রাস্ট। সংস্থার সিইও নিয়াজ আহমেদের বক্তব্য, এইভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক নয়। তাঁর কথায়, কোনও মানুষ কী পছন্দ করছেন কিংবা কোনও প্রস্তুতকারী সংস্থা কী প্রস্তুত করতে চাইছে, এটি সম্পূর্ণভাবে তাঁদের পছন্দের ব্যাপার।
প্রসঙ্গত, গত শনিবারই উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনও ফার্ম কিংবা কোনও ব্যক্তিকে হালাল সার্টিফায়েড ওষুধ, কসমেটিক প্রস্তুত করতে, মজুত করতে কিংবা কেনা-বেচা করতে দেখা যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ফার্মের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।