
চণ্ডীগঢ়: বিএসপি সাংসদকে নিশানা করে সংসদে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধূরির বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে উত্তাল দেশের রাজনীতি। যার প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধী ওই বিএসপি সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে ‘নফরত কি বাজার মে মহব্বত কি দুকান’ খোলার কথা বলেছেন। কিন্তু, এবার অশ্লীল মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে হরিয়ানা কংগ্রেসের সভাপতি। প্রধানমন্ত্রী ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে তিনি অশ্লীল মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে পাল্টা তোপ দেগেছে BJP। ওই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপেরও দাবি জানিয়েছেন হরিয়ানার বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা থেকে সাংসদ এম পি সুধাংশু ত্রিবেদী।
হরিয়ানার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি উদয় ভানের বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিয়ো বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীকেও কটাক্ষ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, “হরিয়ানার কংগ্রেস সভাপতি প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে জঘন্য ও ভয়ঙ্কর ভাষা বলেছেন। কংগ্রেস কি তাঁকে বিতাড়িত করবে? এটা কি ভালবাসার দোকান? না, এটা কংগ্রেসের গালিগালাজের পণ্য।” অভিযোগের সুরে পুনাওয়ালা আরও লিখেছেন, “রাহুল গান্ধীও এই ধরনের ভাষা ও ব্যবহারে অনুপ্রেরণা দেন! রাহুল গান্ধী, খাড়্গেজি ও সনিয়াজিরাও এই ধরনের অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন।”
প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে উদয় ভান যে মন্তব্য করেছেন, তা ভারতের রাজনীতির জন্য ক্ষতিকারক বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী। যে প্রধানমন্ত্রী একদিনও ছুটি না নিয়ে সাড়ে ৯ বছর টানা কাজ করছেন, তাঁর সম্পর্কে হরিয়ানার কংগ্রেস সভাপতি একেবারে নিম্নমানের মন্তব্য করেছেন বলেও আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, উদয় ভান হাসতে-হাসতে প্রধানমন্ত্রী ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করেছেন। সুতরাং তিনি রাগের বশে নয়, জেনে-বুঝেই এই ধরনের মন্তব্য করেছেন বলেও নিন্দায় সরব হন বিজেপি সাংসদ। উদয় ভানের ক্ষমা চাওয়ারও দাবি তুলেছে।
যদিও ক্ষমা চাইতে নারাজ হরিয়ানার কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর পাল্টা দাবি, “আমি কী ভুল বলেছি! আমি কেবল সত্যি বলেছি। এই ভাষায় কোনও ভুল নেই।” এটা হরিয়ানার কথ্য ভাষা বলে দাবি উদয় ভানের।
বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করায় দলীয় সাংসদ রমেশ বিধূরির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে বিজেপি। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও তাঁকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করায় হরিয়ানা কংগ্রেসের সভাপতির বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতৃত্ব কী পদক্ষেপ করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।