লখনউ: সবে স্কুল যাওয়া শুরু করেছে, নার্সারির পড়ুয়া। এখনও ঠিক-ভুলের জ্ঞানই হয়নি, তাঁকে স্কুল থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হল। তাঁর অপরাধ? স্কুলে টিফিনে আমিষ খাবার এনেছিল। সেই অপরাধেই স্কুল থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হল পড়ুয়াকে। তাঁর মা কথা বলতে গেলে প্রিন্সিপাল মুখের ওপরে বলেন, “এমন পড়ুয়াদের পড়াবেন না যারা বড় হয়ে মন্দির ভাঙতে পারে”। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল প্রিন্সিপালের ভিডিয়ো।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলায়। সেখানেরই একটি স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অনৈতিক কারণে সাত বছরের এক পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের রেজিস্টার থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে পড়ুয়ার নাম। বিষয়টি সামনে আসে স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে ওই পড়ুয়ার মায়ের বাদানুবাদের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর। সেই ভিডিয়োতেও প্রিন্সিপালকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমরা স্কুলে এমন নীতিবোধের কোনও পড়ুয়া চাই না, যে আমিষ খাবার আনে। বড় হয়ে মন্দির ভাঙবে এরপর…”
10 सालों में क्या से क्या बना दिया देश को
हैलो @NCPCR_ @KanoongoPriyankएक प्रिंसिपल ने
स्कूल में बिरयानी लाने पर 7 साल के मुस्लिम बच्चे को बंधक बनाकर पीटा
स्कूल से नाम काटा
मां से कहा-
बेटा आतंकी है
मंदिर तोड़ता हैथोड़ी शर्म बची है तो कार्रवाई करो pic.twitter.com/cz1Pu1awG5
— Kanpur Dehat Congress Sevadal (@SevadalKDH) September 5, 2024
প্রিন্সিপালের দাবি, ৭ বছরের ওই নার্সারি পড়ুয়া স্কুলে টিফিনে আমিষ খাবার আনে। সেই খাবার অন্য পড়ুয়াদের খাওয়ার জন্যও বলে। তাঁর আরও দাবি, ওই পড়ুয়া হিন্দু থেকে মুসলিমে ধর্মান্তরিত হওয়ার কথাও বলেছে স্কুলে।
এদিকে, কিশোরের মায়ের দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছেন প্রিন্সিপাল। এত অল্প বয়সে কী করে কেউ ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা বলতে পারে! বরং স্কুলেই হিন্দু-মুসলিম ইস্যু নিয়ে অন্য পড়ুয়াদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এক পড়ুয়া তাঁর ছেলেকে মারধর করে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই প্রিন্সিপাল নানা অজুহাত দিয়ে তাঁর ছেলেকে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে।
ভিডিয়োটি নজরে আসতেই স্থানীয় পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। জেলা স্কুল ইন্সপেক্টরকেও খবর দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)