Head Master cuts hair: ছাত্ররাই সন্তান, কাঁচি হাতে চুলও কেটে দেন প্রধান শিক্ষক
Head Master cuts hair: সম্প্রতি তিনি দেখেন বেশ কয়েকজন ছাত্রের চুল বড় হয়ে গিয়েছে। তাতে তাদের অসুবিধা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে নাপিত এনে চুল কাটানোর উদ্যোগ নেন তিনি। কিন্তু নাপিত না আসায় বিনা দ্বিধায় কাঁচি নিয়ে নেন হাতে। স্কুলেই চুল কেটে দেন ছাত্রদের।
অন্ধ্র প্রদেশ: শিশুদের ক্ষেত্রে স্কুলটা যেমন দ্বিতীয় বাড়ি, তেমনই শিক্ষকরাও অভিভাবক। এই প্রধান শিক্ষক তো নিজের সন্তানের মতোই দেখেন ছাত্রদের। এ কথাই বলছেন অভিভাবকেরা। পড়াশোনা ছাড়া ছাত্রদের শৃঙ্খলার দায়িত্ব তাঁর। এমনকী চুল বড় হয়ে গেলে, সেটা কেটেও দেন প্রধান শিক্ষক। এমন ছবিই দেখা গেল অন্ধ্র প্রদেশের স্কুলে।
অন্ধ্র প্রদেশের আল্লুরি জেলার এই স্কুলে মূলত আদিবাসী পড়ুয়ারা পড়াশোনা করেন। প্রায় ৩০০ ছাত্র রয়েছ এই স্কুলে। শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মী মিলিয়ে রয়েছেন ১০ জন। তবে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা কার্যত নজিরবিহীন। ছাত্র নয়, সন্তান হিসেবেই তিনি দেখেন তাঁর ছাত্রদের। একজন প্রধান শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রদের প্রায় সব দায়িত্বই নিয়েছেন তিনি। পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের ভূমিকাই পালন করছেন তিনি।
পড়াশোনার বাইরে শৃঙ্খলার পাঠও দেন বালাজি। সম্প্রতি তিনি দেখেন বেশ কয়েকজন ছাত্রের চুল বড় হয়ে গিয়েছে। তাতে তাদের অসুবিধা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে নাপিত এনে চুল কাটানোর উদ্যোগ নেন তিনি। কিন্তু নাপিত না আসায় বিনা দ্বিধায় কাঁচি নিয়ে নেন হাতে। স্কুলেই চুল কেটে দেন ছাত্রদের।
নিজের সন্তানদের থেকে ছাত্রদের আলাদা চোখে তিনি দেখেন না বলেই দাবি করেছেন অভিভাবকেরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, শুধু প্রধান শিক্ষকদের জন্য প্রতিদিন স্কুলে যেতে চান ছাত্ররা। ক্লাসের ফাঁকে অন্যান্য শিক্ষকরা যখন বসে সময় কাটান, তখন প্রধান শিক্ষক সময় দেন ছাত্রদের। পড়াশোনার বাইরে যে কোনও বিষয়ে সাহায্য করেন তিনি।