
নয়া দিল্লি: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিনের ‘রহস্যময় নিউমোনিয়া’ (China Pneumonia)। সীমান্ত পেরিয়ে চিনের ‘রহস্যময় নিউমোনিয়া’র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ভারত-সহ গোটা বিশ্বে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেব্যাপারে তৎপর স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Ministry)। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রবিবার বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব।
এদিন সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিশেষ পরামর্শ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। সেই চিঠিতে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সমস্ত হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির যাতে মোকাবিলা করা যায়, সেজন্য হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত শয্যা, অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা, অক্সিজেন প্ল্যান্ট, ভেন্টিলেটর-সহ সমস্ত রকম পরিষেবা মোতায়েন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালগুলিতে সমস্ত ব্যবস্থা মোতায়েনের পাশাপাশি শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুস্থতার উপর বিশেষ নজরদারি করার পরামর্শও দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জেলা ও রাজ্য দফতরকে গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশির-সহ ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ নিয়ে শিশু বা কিশোর হাসপাতালে ভর্তি হলে তার হিসাব সরকারি পোর্টালে আপলোড করার কথাও বলা হয়েছে। আবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে রোগীর কফ, থুতুর নমুনা ভাইরাস রিসার্চ ও ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি (VRDL)-তে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলি সক্রিয়ভাবে বাস্তবায়িত করলে সম্ভাব্য যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যাবে। সবমিলিয়ে, চিনের রহস্যময় নিউমোনিয়া এদেশে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে তৎপর স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, চিনে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া জাতীয় রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চিনের হাসপাতালগুলিতে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, শরীরে ব্যথা নিয়ে শিশু-রোগীর ভিড় বড়েই চলেছে। এটি সাধারণ নিউমোনিয়া নাকি অন্য কিছু, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO)। বছর তিনেক আগে এভাবেই চিন থেকে মহামারীর আকার নিয়েছিল করোনা। স্বাভাবিকভাবেই চিনের পাশাপাশি বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা বিষয়টির উপর বিশেষ নজর রাখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।