Supreme Court: ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিঘ্নিত হতে পারে’, সুপারনিউমেরারি-মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেল রাজ্য

Recruitment Case: ২০২২ সালের মে মাসে প্রায় ৬ হাজার সুপারনিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন‍্যপদ তৈরি করেছিল রাজ্যের মন্ত্রিসভা। সেই অতিরিক্ত পদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, মামলা হয় আদালতে।

Supreme Court: যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিঘ্নিত হতে পারে, সুপারনিউমেরারি-মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেল রাজ্য
সুপ্রিম কোর্টে শুনানিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 08, 2025 | 12:40 PM

নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। সুপারনিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ সংক্রান্ত মামলায় খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা অসাংবিধানিক নয় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি।

মঙ্গলারের শুনানিতে কী হল সওয়াল-জবাব, একনজরে:

  1. মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
  2. প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্যের মন্ত্রিসভা। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা অসাংবিধানিক নয়।
  3. সওয়াল-জবাব শোনার পর অতিরিক্ত শূন্যপদ সৃষ্টির জন্য কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
  4. প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বললেন, “মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্ত হলে ফেডেরাল স্ট্রাকচার (যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো) বিঘ্নিত হতে পারে।”
  5. আইনজীবী জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে যে, অবৈধদের জন্যই এই পদ।
  6. অবৈধভাবে নিযুক্ত শিক্ষকদের নিরাপত্তা দিতেই এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়। এমনটাই বললেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। সুপারনিউমেরারি পোস্ট নিয়ে কিছু বলেননি প্রধান বিচারপতি।” আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, অতিরিক্ত শূন্যপদ বৈধ কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট। আজ শুধুই মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

অযোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ করে দিতেই সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার? এই প্রশ্ন তুলেই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। পরে সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।

ওই মামলায় রাজ্যের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পরে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নির্দেশে স্বস্তি পেল রাজ্য।