আহমেদবাদ: একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টি। তার উপরে বাঁধ থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। দুই মিলিয়ে বানভাসী গুজরাট। জলপ্লাবনে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে একাধিক গ্রাম। আহমেদাবাদ, সুরাট, ভারুচ সহ একাধিক জায়গাতেও হাঁটু থেকে কোমর সমান জল জমেছে। এদিকে নর্মদা বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিপদ এড়াতে আপাতত স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। জলমগ্ন এলাকা থেকে কমপক্ষে ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার দুপুর অবধি আহমেদাবাদে ৭৬ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। মাত্র ১২ ঘণ্টাতেই বিপুল পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে বিপর্যয় হয়েছে সাধারণ জনজীবন। গুজরাটের কমপক্ষে ৭টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শহরগুলিতে সতর্কতাবশে আন্ডারপাসগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়বে।
Moderate rain very likely in Gujarat – namely Junagarh, Porbandar and Gir Somnath during next 3 hours. Light rain very likely in the districts namely Ahmadabad, Mahesana, Gandhinagar, Patan, Banaskantha, Sabarkantha, Aravalli, Mahisagar, Panchmahal, Khera, Anand, Vadodara, Dahod,… pic.twitter.com/zJtmBVN0WV
— ANI (@ANI) September 18, 2023
এদিকে, লাগাতার বৃষ্টিতে নর্মদা নদীর উপরে সর্দার সরোবর বাঁধও পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় রবিবার সেখান থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এরফলে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাকি রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
Gujarat Rain #Narmada pic.twitter.com/hCHlnUBmsW
— Mohammed Adnan (@AhmedSh58082260) September 17, 2023
পঞ্চমহল, দাহোদ, খেদা, আরাবল্লী, মহিসাগর, বানসকাঁথা ও সবরকাঁথা জেলায় মঙ্গলবার অবধি লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার অবধি গুজরাট জুড়ে ভারী বৃষ্টি জারি থাকবে।
Heavy rain is being seen in #Bhinmal Jalore area of Rajasthan#Rajshathan #Jalore#rains pic.twitter.com/x38E7L6UL2
— Weatherman Uttam (@Gujarat_weather) September 17, 2023
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ৫টি জেলা মিলিয়ে ৯,৬০০ জনকে নিরাপদে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। নর্মদা জেলার ২৮টি গ্রাম থেকে প্রায় ১৫০০ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে নর্মদা ছাড়াও রসাং, হেরান, মাহি, মেসরি ও পানাম নদীও ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। একাধিক বাঁধ থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। ফলে বিপদ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।