
গুয়াহাটি: সময়ের আগেই এবার চলে এসেছে বর্ষা। আর শুরুতেই দেখাচ্ছে তার ভয়াল রূপ। ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর-পূর্ব ভারত। লাগাতার বৃষ্টির জেরে নেমেছে ধস, হড়পা বান। দুদিনের বৃষ্টিতেই কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে সাফ জাতীয় সড়কও। অসম-মেঘালয়ের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
বর্ষা ঢুকতে না ঢুকতেই তার ভয়ঙ্কর রূপ দেখছে অসম, মেঘালয়, মণিপুর ও মিজোরাম। একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে এই চার রাজ্যেই হড়পা বান ও ধস নেমেছে। শুধুমাত্র শনিবারই কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জলে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। শুধু অসমেই কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া।
405 MW hydropower project in Ranganadi has caused severe flood in Lakhimpur and Dhemaji. Imagine what a 12000 MW hydropower project i.e 30x bigger than ranganadi project will lead to in plans of assam. People of Assam should protest against mega dams in Arunachal. @AkhilGogoiAG pic.twitter.com/aWZuuIWNRI
— Heenu🏩 (@Heenu_Ri) May 31, 2025
জানা গিয়েছে, শনিবার অসমে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ধস ও হড়পা বানের জেরে। অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব কামেঙ্গ জেলায় ধসের জেরে একটি গাড়ি খাদে পড়ে যায়। দুই পরিবার মিলিয়ে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তাতে। আরেক জায়গায় চাষের জমিতে ধস নেমে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
Heavy rain 🌧🌧
Flood everywhere🥺#AssamFlood pic.twitter.com/uezN0Luqnp— An Unknown Girl💖 (@Oyyee_Jerry) May 30, 2025
মৌসম ভবনের তরফে আরও বিপদের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। অসমের একাধিক অংশে লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাকি উত্তর-পূর্বের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অসমের ৬টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। গুয়াহাটিতে একদিনে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র সহ একাধিক নদীতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। মেঘালয়ের তুরা ও অসমের গুয়াহাটির মধ্যে সংযোগকারী রাস্তা ন্যাশনাল হাইওয়ে ১৭-র রাস্তা ধুয়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।