PM Modi on Indian GDP: ‘ভারতের ধীর বিকাশের জন্য হিন্দুরা দায়ী…’, বামেদের আক্রমণ মোদীর

PM Modi on Hindu Rate: গোটা বিশ্ব যখন ধীরগতির অর্থনীতি নিয়ে বিচলিত, সেই সময় ভারত তখন যেন 'উদীয়মান সূর্য', এমনটাই মত একাংশের অর্থনীতিবিদদের। ভারতের জিডিপি, আয়, আমদানি-রফতানি সবই 'সবুজ সংকেত' দিচ্ছে বলেই মত তাঁদের। নজর কাড়ছে জিডিপি বৃদ্ধির হারও। অবশ্য, নয়াদিল্লির এই 'জিডিপি অঙ্ক' নিয়ে বিতর্ক কম নয়।

PM Modi on Indian GDP: ভারতের ধীর বিকাশের জন্য হিন্দুরা দায়ী..., বামেদের আক্রমণ মোদীর
মোদীর নিশানায় বামেরাImage Credit source: PTI

|

Dec 06, 2025 | 9:03 PM

নয়াদিল্লি: আজকের ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মোদী। তবে এই অর্থনীতি যখন ধুঁকছিল, সেই সময় এটিকে হাতিয়ার করে হিন্দুদের সংস্কৃতিকে ‘কালিমালিপ্ত’ করা ঠিক হয়নি বলেই দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। নিশানা করেন বাম মনস্কদের।

এদিন মোদী বলেন, ‘বর্তমানে আমরা এমন একটা সন্ধিক্ষণে রয়েছি, যখন একবিংশ শতাব্দীর এক-চতুর্থাংশ আমরা পেরিয়ে ফেলেছি। বিশ্ব এই পর্বে অনেক উত্থান-পতন, আর্থিক সঙ্কট, মহামারি ইত্যাদি দেখেছে। এই সময়টা সত্যিই অনেকটাই প্রতিকূল ছিল। আজও বিশ্ব অনিশ্চয়তাপূর্ণ একটা অবস্থাতেই রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও ভারত নিজেকে একটি ভিন্ন স্তরে নিয়ে গিয়েছে। আমরা আজ আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ।’

গোটা বিশ্ব যখন ধীরগতির অর্থনীতি নিয়ে বিচলিত, সেই সময় ভারত তখন যেন ‘উদীয়মান সূর্য’, এমনটাই মত একাংশের অর্থনীতিবিদদের। ভারতের জিডিপি, আয়, আমদানি-রফতানি সবই ‘সবুজ সংকেত’ দিচ্ছে বলেই মত তাঁদের। নজর কাড়ছে জিডিপি বৃদ্ধির হারও। অবশ্য, নয়াদিল্লির এই ‘জিডিপি অঙ্ক’ নিয়ে বিতর্ক কম নয়। মোদীর কথায়, ‘আজ এত প্রশংসা পেলেও, এককালে অপবাদের শেষ ছিল না। কেউ কি কখনও কোনও দেশকে হিন্দু রেট অব গ্রোথ বলে? ওই সব যাঁরা বলেছিলেন, এখন তাঁরা কোথায় গেলেন? ভারত যখন ২-৩ শতাংশের জন্য ধুঁকছিল, সেই সময় আপনারাই তো দেশের মানুষের আস্থা নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিলেন। এটা দাসত্বের মানসিকতা ছাড়া কিছুই নয়। প্রতি মুহূর্তে এটা প্রমাণের চেষ্টা চলেছিল যে ভারতের ধীর বিকাশের জন্য হিন্দু সভ্যতা ও সংস্কৃতিই দায়ী।’

উল্লেখ্য়, ১৯৫০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে ‘হিন্দু রেট অব গ্রোথ’ বা হিন্দু বৃদ্ধির হার তত্ত্ব বলে উল্লেখ করেছিলেন অর্থনীতিবিদ রাজ কৃষ্ণ। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ খোঁচা দেওয়ার খাতিরে এই শব্দবন্ধনী উল্লেখ করেছেন। একাংশ মনে করেন রাজ কৃষ্ণ অনেকটা বাম মনোভাবাপন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। এদিন সেই দিকেই নিশানা করে ভারতের একটা বড় অংশের মানুষের মনে আঘাত আনা হয়েছে বললেই অভিযোগ তুললেন।