Operation Sindoor: শেষ ১৪ দিনে কীভাবে ‘প্রত্যাঘাতের সিঁদুর’ তৈরি করল ভারত?

India Pakistan Tensions: বুধবার মধ্যরাতে সব সম্ভবনাকে সত্যি করে তাদের 'পুষে রাখা' জঙ্গিদের মোক্ষম জবাব দিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা। 'অপারেশন সিঁদুর' মান রাখল সেই সকল স্বামী-সন্তান হারাদের। তবে এই অভিযানের জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করল ভারত?

Operation Sindoor: শেষ ১৪ দিনে কীভাবে প্রত্যাঘাতের সিঁদুর তৈরি করল ভারত?
প্রতীকী ছবিImage Credit source: PTI

|

May 07, 2025 | 2:44 PM

কলকাতা: পহেলগাঁও হামলার পর ঠিক ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তানকে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে ভারত কী করতে পারে। সীমান্তে সন্ত্রাস ছড়ানো নিয়ে বারংবার সাবধান করা হলেও, শোনেও না, আবার মানতেও চায় না ‘জেদী’ পাকিস্তান। কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে সব সম্ভবনাকে সত্যি করে তাদের ‘পুষে রাখা’ জঙ্গিদের মোক্ষম জবাব দিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ মান রাখল সেই সকল স্বামী-সন্তান হারাদের। তবে এই অভিযানের জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করল ভারত?

২২ এপ্রিল

এদিন ছন্দ কেটে কাশ্মীরকে আবার তার পুরনো রূপে ছুড়ে ফেলে দেয় সন্ত্রাসবাদীরা। প্রাণ যায় ২৫ জন পর্যটকের। ধর্ম যাচাই করে মারা হয় একের পর এক হিন্দু পর্যটককে। এই সময় সৌদি সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দেশের আকাশে সন্ত্রাসের মেঘ জড়ো হতেই সফরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি ফিরে আসেন তিনি। কাশ্মীরে দিনের দিন ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতে ছুটে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিরাপত্তা নিয়ে উপত্যকার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে চলে বৈঠক।

২৩ এপ্রিল

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু হয় ‘কূটনৈতিক যুদ্ধ’। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে, দুই দেশের মধ্যে চলা সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করে ভারত। বন্ধ হয় দুই দেশের সীমানা। ফিরে যেতে বলা হয় ভারতে আসা পাকিস্তানি নাগরিক ও রাষ্ট্রদূতেদের।

২৪ এপ্রিল

পহেলগাঁও হামলার পরিণাম সন্ত্রাসবাদীদের ভুগতে হবে বলে বিহারের একটি জনসভা থেকে সাফ জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখনই জনগণের মনে শুরু হয়ে যায়, ‘প্রত্যাঘাতের কাউন্টডাউন’।

২৫ এপ্রিল

সংসদে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে বিজেপি। পহেলগাঁও হামলা নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সেই প্রসঙ্গে চলে আলোচনা। কেন্দ্রের প্রতি ‘পূর্ণ আস্থা রয়েছে’, বলে জানায় কংগ্রেস-সহ অন্যান্য দলগুলি। দিয়ে দেওয়া হয় ‘ফ্রি-হ্যান্ড’।

২৯ এপ্রিল

এরপরই শুরু হয় দফায় দফায় বৈঠক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান-সহ তিন সেনাকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী।

২রা মে

জাতীয় সড়কে নেমেছে একের পর এক যুদ্ধবিমান ও সেনা চপার। ভারতীয় বায়ুসেনার তৎপরতায় উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে চলেছে সামরিক মহড়া। কোনও রকম রানওয়ে ছাড়া কীভাবে দুর্গম এলাকায় নেমে পড়বে সেনার যুদ্ধবিমানগুলি তা বুঝে নিতেই চলে এই ড্রিল।

৫ই মে

পহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে দেশের প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংহের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে সেই বৈঠক।

৬ই মে

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের অনুরোধে আয়োজন হয় বৈঠকের। উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী-অস্থায়ী সদস্যরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে রুদ্ধদ্বার আলোচনা। কিন্তু ফল? বৈঠক শেষে নেই কোনও বিবৃতি। রা কাটেন না রাষ্ট্রদূতেরাও। পাশাপাশি, ওই একই দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তরফে, ৭ই মে দেশজুড়ে মক ড্রিলের ঘোষণা করা হয়।

৭ই মে

রাত তখন ১টা। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ এবং পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের দিকে উড়ে যায় ভারতীয় বায়ুসেনা। মোট ৯টি জায়গায় শুধু মাত্র জঙ্গি পরিকাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’। মৃত্যু হয় শতাধিক জঙ্গির। বলে রাখা প্রয়োজন, এই সময়কালে যখন দফায় দফায় বৈঠক সেরে কৌশল তৈরি করেছে কেন্দ্র সরকার ও নিরাপত্তা পরিষদ। সেই সময় নিজেদের ‘প্রত্যাঘাতের’ জন্য প্রস্তুত করেছে তিন সেনা। প্রতিদিন চলেছে মহড়া।