
নয়া দিল্লি: ছুটির মরসুমে বেড়াতে যাচ্ছেন, লাগেজের মধ্যে রেখে দিলেন কয়েক বোতন মদ। এমন ভাবনা থাকলে অবশ্যই জেনে নিন রেলে নিয়মটি। নিয়ম ভাঙে কী শাস্তি হতে পারে, সেটাও বুঝে নেওয়া জরুরি। বোতল নিতে পারবেন, নাকি বোতল খুলে গ্লাসে ঢেলে খেতেও পারবেন, সেটাও জানতে চান অনেকে।
আসলে ট্রেনে মদ বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যাত্রীরা মদ খেয়ে ট্রেনে ভ্রমণও করতে পারেন না। সেটা আইন-বিরুদ্ধ। এই ক্ষেত্রে রেলওয়ে আইন ১৯৮৯-এর ১৬৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী যাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
রেলের নিয়মে মদকে সিলিন্ডার এবং অন্যান্য দাহ্য পদার্থের সঙ্গে একই শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। মদ সহ ধরা পড়লে আইন মেনে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। এছাড়াও ৬ মাসের কারাদণ্ডের কথাও বলা আছে আইনে। এছাড়া ওই যাত্রীর কাছে থাকা মদের জন্য যদি কোনও ধরনের ক্ষতি বা দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তার খরচও অভিযুক্ত যাত্রীকেই বহন করতে হবে।
যদি কোনও যাত্রীর কাছে মদের একটি খোলা বোতল পাওয়া যায়, তাহলে আরপিএফ (রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স) শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য ওই যাত্রীকে জরিমানা ধার্য করতে পারে। এছাড়াও, ট্রেন যদি এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যায়, তবে এটি মদ সংক্রান্ত কর ফাঁকির মামলার আওতাতেও পড়ে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে, যাত্রীকে GRP-র হাতে তুলে দেওয়া হবে, তারপর সেই রাজ্যের আবগারি বিভাগ নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
আবার রাজ্যের আলাদা আলাদা নিয়মের কথাও মাথায় রাখতে হবে। যেমন কোনও যাত্রী যদি গুজরাট বা বিহারের মতো কোনও রাজ্যে মদ নিয়ে গিয়ে ধরা পড়েন, তাহলে মোটা টাকা জরিমানা এবং শাস্তির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
তবে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে মদ বহন করা যেতে পারে। সিল করা বোতলে ১.৫ লিটার মদ বহন করতে পারবেন যাত্রী। তবে এর জন্য যাত্রীকে প্রথমে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে জোন অফিসারের অনুমতি নিতে হবে। কারণটাও জানাতে হবে। কোনও পরীক্ষার জন্য বা ল্যাবের জন্য নেওয়া হলে, সেই ক্ষেত্রে ছাড় আছে। বোতল সম্পূর্ণভাবে সিল থাকতে হবে।
তবে মেট্রোতে আলাদা আলাদা রাজ্যে আলাদা নিয়ম। যেমন ধরা যাক, দিল্লি মেট্রোর যাত্রীদের ২০২৩ সাল থেকে দুটি বোতল বহন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোনও যাত্রী যদি দিল্লির মধ্যেই সফর করেন, তাহলে এই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে দিল্লি থেকে গুরুগ্রামে যেতে গেলে একটি মাত্র বোতল রাখা যাবে সঙ্গে। সেই ক্ষেত্রে বয়সের একটা সীমাবদ্ধতা অবশ্যই থাকবে।