AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘৪০ বছর ভিক্ষা করে খেয়েছি’, অভাবেই জন্ম মোদী ফ্যাশনের: প্রধানমন্ত্রী

Modi Secret: একবার আপ কি আদালত-এ এসে দর্শকের করা প্রশ্নে উত্তর দিয়েছিলেন খোদ মোদী। দর্শক আসন থেকে এক মহিলা প্রশ্ন করে বসেন- ”স্যার আপনার পোশাক বেশ সুন্দর হয়, আপনার কী কোনও ডিজাইনার রয়েছে?” প্রশ্ন শুনেই হেসে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী।

'৪০ বছর ভিক্ষা করে খেয়েছি', অভাবেই জন্ম মোদী ফ্যাশনের: প্রধানমন্ত্রী
Follow Us:
| Updated on: May 17, 2024 | 7:49 PM

দেশের তিনি প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পোশাক থেকে শুরু করে স্টাইল, সবই প্রতিমুহূর্তে চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে থাকে। কেউ বলে থাকেন তাঁর এক একটি কোটের দাম লাখের ওপর, কেউ আবার মনে করেন তাঁর ব্যক্তিগত কোনও ডিজাইনার রয়েছে। তবে সত্যি কোনটা? কোথা থেকে আসে প্রধানমন্ত্রীর পোশাক? কীভাবে নিজেকে সাজাতে পছন্দ করেন তিনি? একবার আপ কি আদালত-এ এসে দর্শকের করা প্রশ্নে উত্তর দিয়েছিলেন খোদ মোদী। দর্শক আসন থেকে এক মহিলা প্রশ্ন করে বসেন- ”স্যার আপনার পোশাক বেশ সুন্দর হয়, আপনার কী কোনও ডিজাইনার রয়েছে?” প্রশ্ন শুনেই হেসে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও উত্তর তিনি এড়িয়ে গেলেন না।

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ”দেখুন বিষয়টা হল আমি এমন জায়গায় পৌঁছিয়েছি বর্তমানে যে আমায় নিয়ে নানারকমের কথা চলতে থাকে। আমি আপনাকে বাস্তব বলছি। আমি বাড়ি ছেড়েছিলাম। একটা ছোট ঝোলাতেই আমার জিনিস থাকত। আমি প্রায় ৪০ বছর ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছি। এই ৪০ বছর আমি ভিক্ষা করে খেয়েছি। মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভিক্ষা করে যা পেতাম তাই খেতাম। জিনিস তাই কম রাখতে হতো। নিজেকেই পোশাক ধুতে হতো। তাই একটা সময় ঝোলাতে জায়গা হচ্ছে না দেখে জামার হাতগুলোর সামনের অংশ কেটে দিয়েছিলাম। তবে থেকে কনুই পর্যন্ত শার্ট পরি।”

তিনি আরও বলেন, ”গত ২৫-৩০ বছর ধরে এমনই পোশাক পরি আমি। দ্বিতীয়, দেখুন এটাও সত্যি যে আমাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। রঙের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। আমি সেই হিসেবেই পোশাক পরি। ঈশ্বর আমায় যা দিয়েছে, তাতে দেখেছি, যে কোনও বিষয়ই আমি ঠিক নিজেকে ফিট (বসিয়ে) করে নিতে পারি। আমার কোনও ফ্যাশন ডিজাইনার নেই, আমার কোনও বিশেষ কোনও উপদেষ্টা নেই। তবে ঠিক, যে একজন ট্রেলর তো লাগেই। তিনি মাপ নিয়ে বানিয়ে দেন। তাই দিয়েই আমার চলছে। তবে একটা বিষয় শুনে আমার ভাল লাগছে যে, আমি যাই পরি, লোকে সেটা পছন্দ করছে। তার মানে আমি ঠিক-ঠাকই আছি।”