আইএএস বা আইপিএস হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। কিন্তু সেই স্বপ্নকে ছুঁতে গেলে যে কঠোর অধ্যাবসায়ের প্রয়োজন হয়, তাতে পিছু হটে যান অনেকেই। রাতের পর রাত কঠোর পরিশ্রম করে সিভিল সার্ভিসে যুক্ত হওয়া যায়। তবে সেই চাকরি পেলে একদিকে যেমন সম্মান অর্জন করা যায়। অন্যদিকে, বেশ কিছু সুবিধাও পান ওই ব়্যাঙ্কের আধিকারিকরা।
ভারতের প্রশাসনিক পরিকাঠামোয় সর্বোচ্চ পদ এই আইএএস অফিসারদের। তাই তাঁদের বেতন নিয়ে আগ্রহ রয়েছে অনেকেই। সপ্তম বেতন কমিশন অনুযায়ী, একজন আইএএস অফিসারের বেসিক বেতন প্রতি মাসে ৫৬ হাজার টাকা। অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে বেতন। দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে বেতন।
জুনিয়র টাইম স্কেল- ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার।
সিনিয়র টাইম স্কেল- ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার।
জুনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ গ্রেড- ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার।
সিনিয়র গ্রেড- ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ।
সুপার টাইম স্কেল- ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ।
অ্যাবভ সুপার টাইম স্কেল- ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ।
অ্যাপেক্স স্কেল- ২ লক্ষ ২৫ হাজার
ক্যাবিনেট সেক্রেটারি গ্রেড- ২ লক্ষ ২৫ হাজার
বেসিক বেতনের সঙ্গে ডিএ, এইচআরএ ও অন্যান্য কিছু ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে।
আজীবন পেনশন পান অফিসারেরা। ২০০৪-এর জানুয়ারিতে অবসর সংক্রান্ত পলিসিতে কিছু বদল আনা হয়েছে। তাঁদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয় পেনশনের জন্য। আর সরকার দেয় ১৪ শতাংশ টাকা।
ওই আধিকারিকদের সঙ্গে থাকেন ৩ জন করে হোম গার্ড ও ২ জন বডিগার্ড। আধিকারিক ও তাঁর পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। যদি কখনও প্রাণের আশঙ্কা তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে এসটিএফ পাঠানো হয় নিরাপত্তার জন্য।
সাধারণত এই অফিসারদের ইলেকট্রিসিটি বিল দিতে হয় না। বিদ্যুৎ দেওয়া হয় বিনামূল্যে। অথবা এত বেশি ভর্তুকি দেওয়া হয়, যাতে বিল দিতে হয়, তা ন্যূনতম।
পদ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অফিসারদের সরকারি বাংলো দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁদের দেওয়া হয় সাফাইকর্মী, রাঁধুনী, নিরাপত্তারক্ষী।
অফিসের কাজেই হোক বা যে ছুটি কাটাতে, যে কোনও জায়গায় গেলে সরকারি বাংলো বা কোয়ার্টারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
অফিসারদের যে গাড়ি দেওয়া হয়, তা তাঁরা অফিসের কাজেই সাধারণত ব্যবহার করতে পারেন। যদি তাঁরা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন, তাহলে কিছু টারকা সরকারকে দিতে হয়। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা করে দিতে হয়।
একজন অবসর-প্রাপ্ত আইএএস অফিসার আবার সরকারি কোনও দফতরে চাকরি পেতে পারেন। ক্যাগ বা সিইসি-তে চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা চাইলে রাজ্যপাল না লেফট্যানেন্ট গভর্নর পদ পেতে পারেন।