War Siren: যুদ্ধের সাইরেন কীভাবে বুঝবেন? কতদূর থেকে শোনা যায়?
War Siren: বুধবার (৭ মে) যদি আপনি জোরে সাইরেন শুনতে পান, তাহলে আতঙ্কিত হবেন না। এটি একটি মক ড্রিল। ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার এমন নির্দেশ দিল। প্রশাসনিক ভবন, পুলিশ সদর দফতর, ফায়ার স্টেশন ইত্যাদিতে সাইরেন স্থাপন করা হয়।

১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে এমন মক ড্রিল হয়েছিল। তারপর এই প্রথম মক ড্রিল হতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার জানা গুরুত্বপূর্ণ যে এই সাইরেন কী? এটি কোথায় ইনস্টল করা হবে? আর এটা কেমন শোনাবে? কতদূর পর্যন্ত শোনা যায়? আর যখন এটি আওয়াজ করে, তখন মানুষের কী করা উচিত? এখানে আপনি এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
যুদ্ধের সাইরেন কোথায় স্থাপন করা হবে?
এই সাইরেনগুলি সাধারণত প্রশাসনিক ভবন, পুলিশ সদর দফতর, ফায়ার স্টেশন, সামরিক ঘাঁটি এবং শহরের জনাকীর্ণ এলাকায় উঁচুতে স্থাপন করা হয়। তাদের লক্ষ্য হল সাইরেনের শব্দ যতদূর সম্ভব পৌঁছানো। দিল্লি-নয়ডার মতো বড় শহরগুলিতে, বিশেষ করে সংবেদনশীল এলাকায় এগুলি স্থাপন করা যেতে পারে। এটি দেশের প্রতিটি শহরে ইনস্টল করা যেতে পারে।
যুদ্ধের সাইরেন কেমন?
‘যুদ্ধের সাইরেন’ আসলে একটি উচ্চস্বরে সতর্কীকরণ ব্যবস্থা। এটি যুদ্ধ, বিমান হামলা বা দুর্যোগের মতো জরুরি পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। এর শব্দে একটি ধ্রুবক কম্পন থাকে, যা এটিকে একটি সাধারণ হর্ন বা অ্যাম্বুল্যান্সের শব্দ থেকে সম্পূর্ণরূপে আলাদা করে তোলে।
এটা কেমন শোনাচ্ছে, এবং এটা কতদূর যায়?
যুদ্ধের সাইরেনের শব্দ খুব জোরে। এটি সাধারণত ২-৫ কিলোমিটার পর্যন্ত শোনা যায়। শব্দের একটি চক্রাকার ধরন রয়েছে। অর্থাৎ, এটি ধীরে ধীরে বড় হয়, তারপর হ্রাস পায় এবং এই ক্রম কয়েক মিনিট ধরে চলতে থাকে। একটি অ্যাম্বুল্যান্স সাইরেন যেখানে ১১০-১২০ ডেসিবেল শব্দ করে, সেখানে একটি যুদ্ধ সাইরেন ১২০-১৪০ ডেসিবেল শব্দ করে।
ভারতে প্রথম ‘যুদ্ধের সাইরেন’ কখন বেজেছিল?
১৯৬২ সালের চিন যুদ্ধ, ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভারতে যুদ্ধের সাইরেন ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সময়, বিশেষ করে দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা এবং অমৃতসরের মতো শহরে এই সাইরেনগুলি স্থাপন করা হয়েছিল। এছাড়াও, কার্গিল যুদ্ধের সময় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এটি ব্যবহার করা হয়েছিল।
সাইরেন বাজলে কী করবেন?
সাইরেনের শব্দের অর্থ হল, লোকজনকে অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে। কিন্তু মক ড্রিলের সময় আতঙ্কিত হবেন না। খোলা জায়গা থেকে দূরে থাকুন। ঘর বা নিরাপদ ভবনের ভেতরে যান। টিভি, রেডিও এবং সরকারি সতর্কবার্তাগুলিতে মনোযোগ দিন। গুজব এড়িয়ে চলুন এবং প্রশাসনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
বাড়ি খালি করতে কতক্ষণ সময় লাগে?
যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে, প্রথম সাইরেন বাজানোর ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে নিরাপদ স্থানে পৌঁছাতে হয়। এই কারণেই মক ড্রিলের সাহায্যে মানুষকে দ্রুত এবং শান্তভাবে কীভাবে সরে যেতে হয় তা শেখানো হয়।

