
লখনউ: সবে বিয়ে হয়েছে, পরেরদিন ফুলশয্যায় নববধূর গায়ে আঙুলের স্পর্শও করেননি। তারমধ্যেই যা ঘটে গেল, তাতে গোটা গ্রামে শোরগোল পড়ে গেল। বিয়ের তিনদিনের মাথায় সন্তান প্রসব করলেন নববধূ! গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত বর থেকে তাঁর পরিবারের সকলে। তাদের অভিযোগ, নববধূ এমনভাবেই লেহেঙ্গা পরেছিলেন, যাতে তাঁর তাঁর বেবি বাম্প বা স্ফীতোদর ঢাকা ছিল।
বিয়ের তিনদিনের পরই এমন কাণ্ডে ঘটায়, কী করবেন, বুঝেই উঠতে পারছেন না সদ্য বিবাহিত যুবক। তার পরিবারের দাবি, সন্তানের আসল পিতৃপরিচয় জানাতেই হবে যুবতীকে। কেন নিজের গর্ভবতী হওয়ার কথা লুকিয়েছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই যুগলের বিয়ে হয়। বিয়ের দিন অদ্ভুতভাবে লেহেঙ্গা অনেকটা উচুতে পরেছিলেন। বরের বোন ভেবেছিলেন, হয়তো কনের ঠান্ডা লাগছে, তাই এভাবে লেহেঙ্গা পরেছেন, কিন্তু আসলে যে লেহেঙ্গার নিচে নিজের স্ফীতোদর লুকিয়ে রেখেছিলেন, তা কেউ জানত না।
পরেরদিন শ্বশুরবাড়ি এসে ‘মুহ দিখাই’ অর্থাৎ নববধূর মুখ দেখতে আসার চিরাচরিত অনুষ্ঠান হয়। পরেরদিন, ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে নববধূ সকলকে চা পরিবেশন করেন। বিকেল থেকে হঠাৎ তাঁর পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানে সন্তান প্রসব করেন।
অনেকে প্রশ্ন করেন, বিয়ের পর দিনও কেন পরিবারের কেউ বুঝতে পারেননি যে যুবতী গর্ভবতী? বরের বোন বলেন যে ওঁ আমার দাদাকে বলেছিল একদম যেন স্পর্শ না করে। যৌন সম্পর্ক তো দূর, তারা আলাদা দুটি রুমে শুয়েছিল বিয়ের পরেরদিন।