Bizarre Divorce: ‘ম্যাগি কেস’! ম্যাগির জন্য বিবাহবিচ্ছেদের অবাক করা গল্প শোনালেন বিচারক
Maggi Case: এত তুচ্ছ কারণেও বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে, এই ঘটনা না শুনলে তা জানাও যাবে না। ওই বিচারক এই মামলাকে ‘ম্যাগি কেস’ বলে বর্ণনা দিয়েছেন।
মাইসোর: বিভিন্ন বিবাহবিচ্ছেদ মামলা নিয়ে সম্প্রতি নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছিলেন এক বিচারক। তখনই এক যুগলের বিবাহবিচ্ছেদের যে কারণ তিনি বলেছেন, তা অবাক হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এত তুচ্ছ কারণেও বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে, এই ঘটনা না শুনলে তা জানাও যাবে না। ওই বিচারক এই মামলাকে ‘ম্যাগি কেস’ বলে বর্ণনা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সাম্প্রতিক কালে বিবাহবিচ্ছেদ যে অনেক বেড়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। আদালত কী ভাবে বিবাহবিচ্ছেদের কারণকে মনস্তাত্ত্বিক ভাবে মেটানোর চেষ্টা করে সে কথাও ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ওই বিচারক।
বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানানো ওই বিচারকের নাম এমএল রঘুনাথ। বর্তমানে তিনি মাইসোরের জেলা আদালতের বিচারক। বাল্লারি জেলায় তিনি যখন বিচারক হিসাবে ছিলেন, সে সময়ের এক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি। সেই ঘটনাকে ‘ম্যাগি কেস’ বলে উল্লেখ করেছেন ওই বিচারক। রঘুনাথ জানিয়েছেন, বাল্লারি জেলার বিচারক থাকার সময় তাঁর এজলাসে একটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এসেছিল। সেই মামলায় যুগলের বিবাহবিচ্ছেদ হয় ম্যাগি খাওয়াকে কেন্দ্র করে। স্রেফ ম্যাগির জন্য বিবাহবিচ্ছেদের গল্পই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি।
বিচারক এম এল রঘুনাথ এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, এক যুবক আদালতে জানান, তাঁর স্ত্রী সব সময়ই ম্যাগি রান্না করেন। স্ত্রী ম্যাগি ছাড়া আর কিছুই রান্না করতে পারেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন ওই যুবক। ওই যুবকের আর অভিযোগ, বাজারে গিয়ে কোনও খাবারই কিনতেন না তাঁর স্ত্রী। শুধু মাত্র ম্যাগিই কিনতেন বলে অভিযোগ ছিল তাঁর স্বামীর। ম্যাগির জ্বালায় বিরক্ত হয়ে ওই যুবক বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বিচারক। উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদও হয়েছিল তাঁদের।
গত কয়েক বছরে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন ওই বিচারক। বিচ্ছেদ চাওয়ার আগে সম্পর্ক জোড়া লাগানোর জন্য যুগলদের অন্তত এক বছর সময় নেওয়া উচিত বলেও মনে করেন ওই বিচারক।
ম্যাগি কেসের মতো আরও একটি ঘটনা এ বছর সামনে এসেছিল। তেলঙ্গানার এক ব্যক্তি স্ত্রী খাসিং মাংস রান্না করে দেননি বলে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন। মত্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তি ফোন করেছিলেন পুলিশের জরুরিকালীন নম্বরে। সেই কাজের জন্য আপাতত জেলে রয়েছেন ওই ব্যক্তি।