
মুম্বই: মাকে নিয়মিত টাকা দিতেন ছেলে। এমনকি চিকিৎসার খরচ দিতেন। বিদেশ থেকে যখনই দেশে আসতেন, মায়ের সঙ্গে দেখা করতেন। স্বামীর এই কাজই পছন্দ ছিল না স্ত্রীর। তাই স্বামী এবং পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা দায়ের করেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু স্ত্রীর সেই দাবিকে মান্যতা দিল না মুম্বইয়ের আদালত। বিচারকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মায়ের ভরণপোষণ কখনই গার্হস্থ্য হিংসা হতে পারে না। বিচারক আশিস আয়াচিত ওই মহিলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। গার্হস্থ্য হিংসার হওয়ার কোনও প্রমাণ নেই বলেও জানিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা মহারাষ্ট্রের সচিবালয়ে কর্মরত। মহারাষ্ট্র সরকারের উচ্চপদে কাজ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, মায়ের শারীরিক অসুস্থতা গোপন করে তাঁকে বিয়ে করেছেন তাঁর স্বামী। তাঁর শাশুড়ি তাঁর কাজের বিরোধিতা করে বলেও অভিযোগ তাঁর। সেই সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে হেনস্থার অভিযোগও করেছিলেন ওই মহিলা। যদিও সেই সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এমনকি ওই মহিলা শ্বশুরবাড়িতে থাকেন না বলেও জানা গিয়েছে।
দায়ের করা অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে থাকতেন। কাজের ছুটিতে স্বামী যখনই বাড়িতে আসতেন তখন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। পাশাপাশি মাকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দিতেন বলেও জানা গিয়েছে। এমনকি মায়ের চোখের অস্ত্রোপচারের সমস্ত খরচ বহন করেছেন বলেও অভিযোগ মহিলার। এই সব অভিযোগ করেই ডিভোর্স চেয়েছিলেন ওই মহিলা। যদিও তা খারিজ করে দেয় আদালত। ওই মহিলার স্বামী পাল্টা অভিযোগ এনেছেন ওই মহিলার বিরুদ্ধে। মহিলা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২১ লক্ষের বেশি টাকা না জানিয়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি স্বামী হিসাবে স্ত্রীর কাছে কখনও মর্যাদা পাননি বলে অভিযোহ ওই ব্যক্তির।