আগ্রা: প্রেম করতে স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। নিজের বাইকে চাপিয়ে নদীর উপর ব্রিজে ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে গিয়েই স্ত্রীকে ব্রিজ থেকে ঠেলে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে ব্রিজ থেকে ফেলে বাইক নিয়ে বাড়ি চলে আসেন তিনি। নদীতে ফেলে দিলেও জলে ডুবে মার যাননি স্ত্রী। সাঁতার জানতেন তিনি। তাই সাঁতার কেটে পাড়ে আসেন। নদীর পাড়ে উপস্থিত স্থানীয়রা তাঁকে রক্ষা করেন। এর পর স্বামীর কাছে না ফিরে বাপের বাড়িতে ফিরে যান স্ত্রী। এবং পুলিশে খবর দেন। তার পর অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের আগ্রাতে।
উত্তর প্রদেশের আগ্রার বাহ ব্লকের বটেশ্বরে রয়েছে যমুনা নদী ব্রিজ। সেখানেই স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন অরবিন্দ নামের এক ব্যক্তি। স্ত্রী সন্তোষীকে বাইকে করে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ব্রিজ থেকে যমুনা নদীতে ফেলে দেন সন্তোষীকে। এর পর সেখানে থেকে পালিয়ে যান আগ্রার রুনাকাতা বাড়িতে ফিরে আসেন অরবিন্দ।
সাঁতার কেটে স্থানীয়দের সাহায্যে নদী থেকে পাড়ে ওঠেন সন্তোষী। তার পর বাপের বাড়ির লোকেদের ঘটনার কথা জানান। সে সময় তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা অরবিন্দকে ফোন করে সন্তোষীর ব্যাপারে জানতে চান। কিন্তু অরবিন্দ কোনও যুক্তগ্রাহ্য জবাব দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। এর পরই সিকান্দ্রা থানায় অভিযোগদ দায়ের করেন সন্তোষীর দাদা চন্দ্রশেখর। সিকান্দ্রা থানার এক অফিসার বলেছেন, “সন্তোষীর ফোন পেয়ে তাঁর স্বামীকে ফোন করেন সন্তোষীর বাপের বাড়ির লোকেরা। অভিযুক্ত ভুল তথ্য দিয়ে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করে। এর পর সন্তোষীর ভাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।”
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার আগ্রা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তিনি দর্জির কাজ করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন স্ত্রীকে ঠেলে ফেলে দিলেন, ত অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।