
নয়া দিল্লি: ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধে ঢুকে পড়ল আমেরিকাও। রাতের অন্ধকারে ইরানের তিনটি পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। আর এরপরই ইজরায়েল তথা গোটা বিশ্বকে সবক শেখাতে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। গোটা বিশ্বেই কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। সকলেরই আশঙ্কা একটাই, এবার বিশ্বজুড়ে তেলের সঙ্কট দেখা যাবে। হু হু করে বাড়বে তেলের দাম। ভারতেরও কি একই অবস্থা হবে?
ইরানের সংসদে পাশ হয়েছে হরমুজ প্রণালী বন্ধের সিদ্ধান্ত। এখন এই সরু প্রণালী দিয়ে যাতায়াত বন্ধ কেবল সময়ের অপেক্ষা। সরু জলপথ হলেও এর গুরুত্ব অনেক। বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ তেল সরবরাহই হয় এই প্রণালী পথ ধরে। ইরানের হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি দেওয়ার পর থেকেই ভারত তেলের দাম ওঠানামার উপরে বিশেষ নজর রাখছে।
রবিবার কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, “বিগত দুই সপ্তাহ ধরেই মধ্য প্রাচ্যের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীজির নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছরে আমরা তেলের আমদানি আরও বিভাজিত করেছি। বর্তমানে আমদানি করা তেলের একটা বড় অংশই হরমুজ প্রণালী থেকে আসে না।”
এই সংঘাতের জেরে কি ভারতেও তেলের দাম বাড়বে? এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমাদের ওয়েল মার্কেটিং কোম্পানিগুলির কাছে বেশ কয়েক সপ্তাহের জ্বালানি মজুত রয়েছে। একাধিক অন্য রুট থেকেও তেল ও শক্তি সাপ্লাই হচ্ছে। যাতে সাধারণ মানুষ জ্বালানি পান, তার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করব।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বাস দিলেও তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদিধির ক্ষেত্রে বরাবরই দেখা গিয়েছে, সামান্য জটিলতা বা সঙ্কটের জেরেও তেলের দামে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। হু হু করে দাম বাড়ে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ইরান এক সপ্তাহের জন্যও হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়, তবে তার অভিঘাত গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেবে। তখন ভারতও রক্ষা পাবে না।
সূত্রের খবর, বিশ্ববাজারে ক্রুড তেলের দাম ১০৫ ডলার প্রতি ব্যারেল পার করলে, সরকার আমদানি শুল্কে ছাড় দিয়ে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে পারে। ইরান-ইজরায়েলের সংঘাত কোনদিকে যায়, তার উপরই নির্ভর করছে সবকিছু।