বোটাড: গুজরাটের বোটাড জেলায় বিষমদ খেয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, বিষমদ খেয়ে এখনও অবধি বোটাড নিবাসী ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পার্শ্ববর্তী আহমেদাবাদ জেলার ধুন্ধুকা তালুকের ৫ জনের এই বিষ মদের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানা গিয়েছে বিষমদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ৩০ জনের এখনও চিকিৎসা চলছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মদ খেয়ে অসুস্থদের ভাবনগর, বোটাদ, বারওয়ালা এবং ধুন্ধুকার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। গুজরাট পুলিশের ডিজি আশীস ভাটিয়া আগেই জানিয়েছিলেন, বিষমদকাণ্ডে বোটাড জেলা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা সরাসরি বিষমদ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার সকালেই এই ঘটনার কথা জানা গিয়েছিল। যখন বারভালা তালুকের অন্তর্গত রোজিড গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু গ্রাম থেকে বারভালা ও বোটাডের সরকারি হাসপাতালে হঠাৎ করে অসুস্থ রোগীদের রেফার করা শুরু হয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল সকালে হঠাৎ করে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ভাবনগর রেঞ্জের আইজি অশোক কুমার যাদব জানিয়েছেন, ডেপুটি সুপার পদমর্যাদার কোনও এক পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল অথবা সিট গঠন করে ঘটনার তদন্ত করা হবে এবং বিষমদ বিক্রির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। গুজরাট অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড এবং আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চও বিষমদ কাণ্ডের তদন্তে নেমেছে।
সম্প্রতি বাংলার পূর্ব বর্ধমান জেলায় এক হোটেলে মদ খেয়ে প্রথমে ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৮। জানা গিয়েছিল, ওই হোটেল থেকে কেনা মদ খাওয়ার পর হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় গ্রামের বেশ কিছুু বাসিন্দা। হঠাৎ করে বমির পাশাপাশি পেটে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়েছিল। এই ঘটনায় হোটেল মালিক সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।