Kerala Flood: নিম্নচাপ শক্তি হারাতেই উদ্ধারকার্যে নামল এনডিআরএফ, ক্ষোভ ত্রাণ শিবির ঘিরে

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Oct 17, 2021 | 11:42 AM

NDRF Rescue Operation in Kerala: এনডিআরএফের ডিরেক্টর জেনারেল এসএন প্রধান টুইট করে জানান, অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা ও বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ১১টি দল পাঠানো হয়েছে। মলপ্পুরম, আলাপুজ্জা়, এরনাকুলাম, ত্রিশূর, পাথানামিত্তা, পালাক্কড, কোট্টায়াম, কন্নুর ও কোল্লামে একটি করে দল পাঠানো হয়েছে।

Kerala Flood: নিম্নচাপ শক্তি হারাতেই উদ্ধারকার্যে নামল এনডিআরএফ, ক্ষোভ ত্রাণ শিবির ঘিরে
উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে এনডিআরএফ বাহিনী। ছবি: টুইটার

Follow Us

তিরুবনন্তপুরম: ভয়াবহ আকার নিচ্ছে কেরলের বন্যা পরিস্থিতি (Kerala Flood)। ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। উদ্ধারকার্যে প্রশাসনকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF)। ইতিমধ্যেই মধ্য ও দক্ষিণ কেরলে এনডিআরএফের ১১টি দল পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনী (Indian Army) ও বায়ুসেনা(Air Force)ও সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই কেরলে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। একাধিক জায়গায় নেমেছে হড়পা বান (Flash Flood)। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও একাধিক অসমর্থিত সূত্রের দাবি, মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ, অর্থাৎ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ অনেকজন।

এনডিআরএফের ডিরেক্টর জেনারেল এসএন প্রধান টুইট করে জানান, অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা ও বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ১১টি দল পাঠানো হয়েছে। মলপ্পুরম, আলাপুজ্জা়, এরনাকুলাম, ত্রিশূর, পাথানামিত্তা, পালাক্কড, কোট্টায়াম, কন্নুর ও কোল্লামে একটি করে দল পাঠানো হয়েছে। ইদ্দুকির পরিস্থিতি বিপজ্জনক হওয়ায় সেখানে দুটি দল পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি এনডিআরএফ দলের সঙ্গেই গাছ কাটার মেশিন, বোট, যোগাযোগের জন্য রেডিয়ো ও ওয়াকিটকি এবং প্রাথমিক চিকিৎসীর জন্য মেডিক্যাল কিট রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রাজ্য সরকারের তরফে সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার সাহায্যও চাওয়া হয়েছে। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, এমআই-১৭ হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাদার্ন এয়ার কমান্ডের সবকটি বেসে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। জলমগ্ন এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ৩০ জন সেনার একটি দল রওনা হয়েছে কোট্টায়াম জেলার কাঞ্জিরাপ্পালিনের দিকে।

এদিকে, ভারী বৃষ্টির জেরে মীনাচল ও মণিমালা নদীও জলে উপচে পড়ছে বলে জানা গিয়েছে। কেরলের পরিস্থিতিকে “গুরুতর” বলে অ্যাখ্যা দিয়ে রাজ্যের মানুষকে সতর্ক ও নিরাপদে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। নদী, পাহাড় থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়েছে। শনিবারই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জও একটি রিভিউ বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন।

রবিবার সকালে মধ্য কেরলে বৃষ্টি কিছুটা কমেছে বলেই জানা গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি ধসে পড়েই একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ কমপক্ষে ১৭ জন। তাদের খুঁজে বের করতে স্নিফার কুকুরও নামানো হয়েছে। বন্যার জেরে সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কোট্টায়াম, পাথানামিত্তা ও ইদ্দুকি। বৃষ্টির জেরে রবি ও সোমবারে দর্শনার্থীদের শবরীমালা মন্দিরে আসতে বারণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনগুলির তরফেও খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। তবে করোনাবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মানতে গিয়ে সকলকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে। একাধিক অঞ্চলের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কেরলে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে। যে নিম্নচাপটি দক্ষিণ-পশ্চিম আরব সাগর ও কেরলের উপর তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Singhu Border: সিংঘু সীমান্তে নৃশংস হত্যালীলা থেকে শিক্ষা, সিসিটিভি বসাবে আন্দোলনকারী কৃষকরা 

Next Article