
নয়া দিল্লি: রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার ৭৮ তম বর্ষে পা দেবে এবার। প্রতি বছরের মতো এ বছরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। স্বাধীনতার শতবর্ষের দিকে এগোচ্ছে ভারত। তবে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ফিরে দেখা দরকার, কীভাবে এই স্বাধীনতা অর্জন করেছিল ভারত?
ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ২০০ বছর কেটেছে। ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলনের ধিকিধিকি আঁচ জ্বলছিল অনেকদিন ধরে। ১৯২৯ সালে জওহরলাল নেহরু প্রথম ডাক দেন পূর্ণ স্বরাজের। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর হাত ধরে সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে আপামর দেশবাসী। সেই সময় স্থির হয়, ২৬ জানুয়ারি স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। পরে যখন লাগাতার আন্দোলন, বিদ্রোহের মুখে পড়ে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশরা, তখনই দেশভাগও স্থির হয়। বদলে যায় ভারতের স্বাধীনতা দিবসও।
দেশভাগের সময় মাউনটব্যাটেনকে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট যে আদেশপত্র দিয়েছিল ক্ষমতা হস্তান্তরের, সেখানে বলা হয়েছিল দেশভাগ শেষ হতে ১৯৪৮ সালের ৩০ জুন হয়ে যাবে। অর্থাৎ স্বাধীনতা আরও এক বছর পিছিয়ে যেত। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় মুসলিম লীগ। তারা আলাদা দেশের দাবি করতে থাকে। এরপরই লর্ড মাউন্টব্যাটেন ১৯৪৭ সালে ভারতের ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি এগিয়ে আনেন।
ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সে ৪ জুলাই ভারতীয় স্বাধীনতা বিল পেশ করা হয় এবং ১৮ জুলাই তা গৃহীত হয়। ওই বিলেই ভারত ভেঙে পাকিস্তান গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাব মেনেই ১৯৪৭ সালের ১৪ অগস্টের মধ্য রাতে দুই ভাগে ভাগ করা হয় তৎকালীন ভারতবর্ষকে। ১৫ অগস্টের মধ্য রাতে, ঘড়ির কাটা ১২ টা পার করতেই ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হয় ভারত। দ্বিখণ্ডিত ভারতের অপর অংশ পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৪ অগস্ট।