নয়া দিল্লি: দীর্ঘ টালবাহানার পর ইমরান খানকে (Imran Khan) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ় শরিফ। টুইটারে নয়া পাক প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। কিন্তু এবার পাকিস্তান প্রসঙ্গে আমেরিকার (America) এক পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে নয়া দিল্লি। বৃহস্পতিবার পাক অধীকৃত কাশ্মীরে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য (US Congress Woman) ইলহান ওমরের (Ilhan Omar) সফর নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারত। নয়া দিল্লি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই ধরনের কাজ ‘সংকীর্ণ মনের রাজনীতি’ ছাড়া আর কিছুই নয়। ওমর ৪ দিনের পাকিস্তান সফরে গিয়েছেন। নিজের সফরকালে তিনি পাকিস্তানের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাড়িতে গিয়েও তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। আমেরিকার এই পদক্ষেপ মোটেও ভালভাবে নেয়নি ভারত, কারণ কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। কারণ পাকিস্তান অন্যায়ভাবে কাশ্মীরের একটি অংশ দখল করে রেখেছে। সেখানে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গেলে, তা পাকিস্তানের অনৈতিক কাজকে সমর্থন জোগানো হয় বলেই মনে করছে ভারত।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ওমরের এই সফরকে নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি ওই মার্কিন কংগ্রেস সদস্য এমন একটি অংশে সফরে গিয়েছেন যা ভারতীয় ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং পাকিস্তান অন্যায়ভাবে দীর্ঘদিন ধরেই তা দখল করে রেখেছে। যদি মার্কিন রাজনীতিবিদ সংকীর্ণ মনের রাজনীতির করেন, তবে সেটা তাঁর পছন্দ। এই সফরের মাধ্যমে আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাই আমাদের মনে হয়েছে এই সফর নিন্দনীয়।”
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের পাক অধিকৃত কাশ্মীর সফর নিতান্তই কাকতালীয় নয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভারতের সমর্থন চেয়েছিল আমেরিকা। তবে আমেরিকার আনা প্রস্তাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট না দিয়ে একাধিকবার ভোট দানে বিরত ছিল ভারত। ভারতের এই অবস্থান মোটেও ভাল চোখে নেয় ওয়াশিংটন। সেই কারণে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলা দীর্ঘদিনের সমস্যা নিয়ে আমেরিকার এই ধরনের পদক্ষেপকে কূটনৈতিক চাল হিসেবেই মনে করছে বিশ্লেষকদের একাংশ।