
নয়াদিল্লি ও কাঠমান্ডু: সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদে জ্বলছে নেপাল। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী কাঠমান্ডু ছাড়াও নেপালের বিভিন্ন অংশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। এই সংঘর্ষের আবহে নেপালে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের জন্য বড় বার্তা দিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক।
নেপালের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বার্তায় বলা হয়েছে, “গতকাল থেকেই নেপালের পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছি আমরা। বেশ কয়েকজন তরুণের প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। সংঘর্ষে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
নেপাল ভারতের প্রতিবেশী এবং বন্ধু দেশ। নিজেদের বার্তায় সেকথা উল্লেখ করে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আবেদন জানিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত। কাঠমান্ডু-সহ একাধিক জায়গায় ফের কারফিউ জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নেপালে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। একইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে চলতে বলা হয়েছে পড়শি দেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের।
প্রসঙ্গত, গতকাল থেকে ক্রমশ উত্তেজনা বেড়েছে নেপালে। সংসদ ভবনের সামনে রাস্তা সম্পূর্ণ ভাবে দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। সেনার থেকে কেড়ে নিয়েছে বন্দুক। তুলে নিয়েছে নিজেদের হাতে। নেপালের প্রেসিডেন্টের বাসভবনও দখল নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে, নেপাল-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে বিশেষ নজরদারি চলছে। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছেন খোদ ডিজি রাজীব কুমার। নজর রয়েছে পানিট্যাঙ্কি এলাকাতেও। কোনওভাবেই যেন অশান্তি বিধ্বস্ত নেপাল থেকে এই দিকে উন্মত্ত জনতা ঢুকে না পড়ে, সেই কথা মাথায় রেখেই তৎপরতা বেড়েছে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে।