Satellite Fleet: Satellite Fleet: শত্রুপক্ষের স্যাটেলাইট মুহূর্তে বিকল করে দিতে পারে, আমেরিকা-রাশিয়ার সঙ্গে একই সারিতে ভারত
Satellite Fleet: ২০১৯-এর ভারত দেখিয়েছিল, স্যাটেলাইট পর্যন্ত ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে হাতে। সেই অভিযানের নাম ছিল 'মিশন শক্তি'। বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশের কাছে রয়েছে এই অ্যান্টি-স্যাটেলাইট টেকনোলজি।

নয়া দিল্লি: ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তথা মিসাইল সিস্টেমের যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তেমনই বড় ভূমিকা নিয়েছে একগুচ্ছ স্যাটেলাইট। ভারতের কাছে রয়েছে ৫০টিরও বেশি স্যাটেলাইট। যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে নজরদারি, সবক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় এগুলি। এর মধ্যে ১০-১২টি স্যাটেলাইট রয়েছে ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণে। জরুরি পরিস্থিতিতে এগুলির গুরুত্ব অপরিসীম।
ইসরো-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, স্যাটেলাইটে ক্যামেরা থাকলেও, সেগুলিতে নজরদারির কাজে লাগানো যায়। তাই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মহাকাশের সম্পদগুলিকে ফোর্থ ডাইমেনশন বা চতুর্থ শক্তি বলে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৯-এর ভারত দেখিয়েছিল, স্যাটেলাইট পর্যন্ত ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে হাতে। সেই অভিযানের নাম ছিল ‘মিশন শক্তি’। বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশের কাছে রয়েছে এই অ্যান্টি-স্যাটেলাইট টেকনোলজি। আমেরিকার, চিন ও রাশিয়ার কাছেই আছে এই প্রযুক্তি। অর্থাৎ শুধুমাত্র মিসাইল হামলার বাইরেও ভারতের কাছে আঘাত করার একাধিক উপায় রয়েছে।
সারভিলিয়েন্স বা নজরদারির জন্য রয়েছে স্যাটেলাইট। এমনকী শত্রুপক্ষের স্যাটেলাইট নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া যেতে পারে, এমন ক্ষমতাও রয়েছে। বিপক্ষের নেভিগেশন স্যাটেলাইটকে প্রভাবিত করতে পারে ভারত। এছাড়া ভারতের প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ NavIC-র নেভিগেশন সিস্টেম। বর্তমানে চারটি স্যাটেলাইট রয়েছে এই সংস্থার কাছে।
অদূর ভবিষ্যতে স্যাটেলাইটের সংখ্যা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারত। আগামী ১০ বছরের মধ্যে ৫২টি স্যাটেলাইট লঞ্চ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। মহাকাশে নিরাপত্তা বলয় যে আরও শক্তিশালী হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

