Rafale Marine Jet: আসছে ২৬ রাফাল যুদ্ধবিমান! চিন-পাকিস্তানকে এবার কোন খেলা দেখাবে ভারত?
Rafale Marine Jet: কেন হঠাৎ এত টাকা খরচ করে ২৬ যুদ্ধ বিমান কিনছে ভারত? কবের মধ্যে হাতে পাবে এই সব বিমান? এই বিমান হাতে পেলে কী কী উপকার হবে, জানেন?

প্রতিরক্ষা দফতরকে ঢেলে সাজাতে ব্যস্ত মোদী সরকার। সেই প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াতে এবার ২৬টি রাফাল এম (Rafale-M) যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত। যার জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ৬৪০০০ কোটি টাকা। চুক্তির আওতায় বিমানগুলির রক্ষণাবেক্ষণ, প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পের উন্নয়নে সহায়ক হবে। এই যুদ্ধবিমান হাতে এসে পৌঁছলে যে দেশের সামরিক শক্তিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য। কেন হঠাৎ এত টাকা খরচ করে ২৬ যুদ্ধ বিমান কিনছে ভারত? কবের মধ্যে হাতে পাবে এই সব বিমান? এই বিমান হাতে পেলে কী কী উপকার হবে, জানেন?
বিশেষ এই রাফাল এম যুদ্ধবিমান বিমানবাহী রণতরীতে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। রয়েছে শক্তিশালী ল্যান্ডিং গিয়ার, অ্যারেস্টার হুক এবং উন্নত সেন্সর সিস্টেম। যা সমুদ্রের বুকের উপর দাঁড়িয়ে অপারেশনের জন্য উপযুক্ত। এই বিমানগুলি মেটিওর (Meteor) এবং এক্সোসেট (Exocet) মিসাইলসহ বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম।
এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় নৌবাহিনী তার বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant) এবং আইএনএস বিক্রমাদিত্য (INS Vikramaditya)-এর ক্ষমতাও কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে। বর্তমানে ব্যবহৃত মিগ-২৯কে (MiG-29K) বিমানগুলির তুলনায় রাফাল এম বিমানগুলি অধিক উন্নত প্রযুক্তির বলে দাবি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেশের শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে এই ২৬ বিমান। বিশেষ করে চিন ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশের ক্রমবর্ধমান সামরিক কার্যকলাপের প্রেক্ষাপটে এই শক্তিবৃদ্ধি আরও গুরুত্বপূর্ণ।
কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে বিমানে?
রাফাল যুদ্ধবিমান নৌবাহিনীর যুদ্ধ ক্ষমতাকে আধুনিক ও শক্তিশালী করবে, যার মধ্যে রয়েছে –
১। শত্রুপক্ষের লক্ষ্যবস্তুর উপর নিখুঁতভাবে আঘাত হানার ক্ষমতা।
২। পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সামর্থ্য, যা ভারতের পারমাণবিক ত্রিভুজে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
৩। রাফাল যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভুক্তি নৌবাহিনীর শক্তি প্রদর্শনের সক্ষমতায় একটি বড় পরিবর্তন আনবে। জটিল পরিস্থিতিতে যা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
৪। রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতের জন্য একটি কৌশলগত সুবিধা প্রদান করবে, যা দেশের আঞ্চলিক স্বার্থ রক্ষা এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জলির মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।
৫। রাফাল যুদ্ধবিমান ৭৮০-১৮৫০ কিলোমিটার রেঞ্জ পর্যন্ত পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন অস্ত্র পরিবহণ করতে এবং তা লঞ্চ করতে পারে।
এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় নৌবাহিনী আধুনিক প্রযুক্তি ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, যা দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।





