AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

India-China: নিস্তার পাবে না চিন! ৩০ হাজার ফুট উঁচু থেকে চোখ রাখছে ভারত

China Border: অরুণাচলের সীমান্ত বরাবরই স্পর্শকাতর। এবার সেই সীমান্তেই বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে ভারত। ব্যবহার করা হচ্ছে হেরন ড্রোন।

India-China: নিস্তার পাবে না চিন! ৩০ হাজার ফুট উঁচু থেকে চোখ রাখছে ভারত
ব্যর্থ ভারত-চিন বৈঠক। ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2021 | 8:46 AM
Share

নয়া দিল্লি : সীমান্তে চিনের (China) কার্যকলাপ ভারতের জন্য বরাবরই উদ্বেগের। বিশেষত গালোয়ানে সংঘর্ষের (Galwan Clash) পর থেকে বারবার চিনের উস্কানিমূলক কার্যকলাপ সামনে এসেছে বারবার। তবে ভারত এবার আরও সতর্ক। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) সীমান্তে (Border) ভারতীয় সেনার (Indian Army) বিমানঘাঁটিতে এখন নতুন ও উন্নততর সমরসজ্জা। চিনের কার্যকলাপে এবার কড়া নজরদারি চালাতে পারবে ভারত।

স্পর্শকাতর ওই সীমান্তে ভারতের নজরদারিতে সাহায্য করছে অত্যাধুনিক হেরন ড্রোন। ইজরায়েলের তৈরি এই ড্রোনের সাহায্যে চিনের সীমান্তে যে কোনও কার্যকলাপেই এবার নজর রাখতে পারবে ভারতীয় সেনা। অনেক বেশি উচ্চতায় উড়তে পারে সেই ড্রোন। সেনা ঘাঁটি থেকে চালানো হচ্ছে বিশেষ নজরদারি।

শুধু হেরন নয়, সেনা ঘাঁটিতে এএলএইচ ধ্রুব, রুদ্র-র মতো হেলিকপ্টারও ভারতের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যে কোনও সময় চিনের মুখোমুখি হতে হলে সেনাবাহিলী যাতে প্রস্তুত থাকে, সেই ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে। তবে হেরন ড্রোনের সাহায্যে বিশেষ সুবিধা হয়েছে ভারতের। ইজরায়েলের তৈরি এই হেরন ড্রোন সম্পর্কে মেজর কার্তিক গর্গ জানিয়েছেন, নজরদারির ক্ষেত্রে এই ড্রোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভারতের হাতে আসার পর থেকে এই ড্রোনের ওপর ভরসা বেড়েছে অনেকটাই। তিনি জানান, এই ড্রোন আকাশে ৩০ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। সেই উচ্চতা থেকে চারপাশের ছবি তুলতে পারে এই ড্রোন। সেনাবাহিনীর হাতে থাকবে সেই ছবি। একটানা ২৪ থেকে ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত ছবি আকাশে উড়তে পারে এটি। মেজর আরও জানান, খারাপ আবহাওয়াতেও যাতে নজরদারি বন্ধ না হয়, তার জন্য রয়েছে বিশেষ ক্যামেরা।

মিসামারি বিমান ঘাঁটি সম্পর্কে লেফট্যানেন্ট জেনারেল অমিত দাধোয়াল জানান, যে সব হেলিকপ্টার রাখা হয়েছে তাতে যে কোনও অপারেশনে সাফল্য পেতে সুবিধা হবে সেনাবাহিনীর। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের তৈরি এয়ারক্রাফ্টের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি জানান, এএলএইচ ধ্রুব হেলিকপ্টারের সাহায্যে দুর্গম রাস্তাতেও সহজেই যাতায়াত করতে পারেন জওয়ানরা। সেই সঙ্গে রাতের অন্ধকারে উদ্ধারকাজ চালাতেও সাহায্য করে এটি। পাশাপাশি চিতা হেলিকপ্টার সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ৫০ বছর ধরে এটি সেনাবাহিনীর অত্যন্ত ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে।

কিছুদিন আগেও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে (PLA) দেখা গিয়েছে আগ্রাসী ভূমিকায়। প্রায় ১০০ জন সেনা উত্তরাখণ্ডের বারাহোতি সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে হাজির হয়েছিল। সূত্রের খবর, ৩০ অগস্ট সীমারেখা লঙ্ঘন করে চিনা আর্মি কয়েক ঘণ্টা এলাকা পরিদর্শন করে ও পরে ফিরে যায়। পূর্ব লাদাখের প্রায় ১৭ মাস ধরে দভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা চলেছে। ডোকালাম সীমান্তে বেশ কয়েকবার পিপলস্ লিবারেশ আর্মির মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। এবার ভারত সীমান্তে গোপন অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। প্রায় ১০০ জন চিনা সেনার অনুপ্রবেশের ঘটনায় ভারতীয় কর্মকর্তারা বিস্মিত।

আরও পড়ুন : Flood Updates: কেরলে বৃষ্টির বলি ২৭, উত্তরাখণ্ডে ৫, একাধিক রাজ্যে ভারী বর্ষণের সতর্কতা