India’s econmy: ‘বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হওয়ার লক্ষ্যে সঠিক পথেই রয়েছে ভারত’

India's econmy: ভারতের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এস অ্যান্ড পি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ৩ বছর ভারতীয় অর্থনীতি দ্রুত এগোবে। ভারত-সহ উদীয়মান বাজারগুলি পরবর্তী দশকে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।

India's econmy: 'বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হওয়ার লক্ষ্যে সঠিক পথেই রয়েছে ভারত'
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে ভারত
Follow Us:
| Updated on: Oct 20, 2024 | 11:16 PM

নয়াদিল্লি: এই মুহূর্তে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে ভারত। ২০৩০ সালের মধ্যে ২ ধাপ উপরে ওঠার লক্ষ্যে ভারত সঠিক পথেই রয়েছে বলে মনে করে এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং। এই মুহূর্তে ভারতের অর্থনীতি ৩.৬ ট্রিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ৩০ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া ভারতের লক্ষ্য। তবে সেই লক্ষ্য পূরণে ভারতকে একাধিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে বলে এস অ্যান্ড পি মনে করছে। তার মধ্যে একটি ভারতের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা।

ভারতের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এস অ্যান্ড পি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ৩ বছর ভারতীয় অর্থনীতি দ্রুত এগোবে। ভারত-সহ উদীয়মান বাজারগুলি পরবর্তী দশকে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। এস অ্যান্ড পির অনুমান, ২০৩৫ সালের মধ্যে উদীয়মান বাজারগুলির গড় জিডিপি বৃদ্ধি ৪.০৬ শতাংশ হবে। যেখানে উন্নত অর্থনীতির জিডিপি হবে ১.৫৯ শতাংশ। ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে ৬৫ শতাংশ যোগদান থাকবে উদীয়মান অর্থনীতির। ততদিনে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলবে ভারত। বিশ্বের আর দুটি উদীয়মান বাজার ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলও বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় উপরে উঠে আসবে। এই দুটি দেশ যথাক্রমে অষ্টম ও নবম স্থানে থাকবে।

বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চললেও ভারতকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। তার মধ্যে অন্যতম জনসংখ্যা বৃদ্ধি। মনে করা হচ্ছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের এক নম্বর দেশ হবে ভারত। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক পরিষেবা দেওয়ার চাপ বাড়বে সরকারের উপর। আবার অর্থনীতির বৃদ্ধির সঙ্গে পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগও বাড়াতে হবে। সেই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে হবে ভারতকে। এস অ্যান্ড পি বলছে, দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধি নিয়ে ভারত কী কৌশল নিচ্ছে, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।