
কলকাতা: বর্তমান পরিস্থিতিতে বাতিল বেশ কিছু বিমান। সীমান্ত এলাকায় ব্যহত বিমান পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে লাদাখে হোটেল অ্যাসোশিয়েসনের পক্ষ থেকে বড় সিদ্ধান্ত পর্যটকদের জন্য। বিমান সমস্যার জন্য যে পর্যটকরা লাদাখ থেকে ফিরে যেতে পারেননি, তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। যতদিন না বিমান পাবেন, ততদিন হোটেলে বিনামূল্যে থাকতে পারবেন সেই পর্যটকরা। যেই হোটেলে পর্যটকরা ছিলেন, সেই হোটেলেই থাকতে হবে, মিলবে বিনামূল্যে পরিষেবা।
পাকিস্তানের দাবি, বুধবার রাতভর দফায় দফায় জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারত। এদিকে, পাকিস্তানের নিশানায় ভারতের সাধারণ মানুষ। বুধবারই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৬ জন গ্রামবাসীর। দিশেহারা পাকিস্তান আক্রোশে নিরীহ মানুষকে টার্গেট করছে। জনবসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ চলছে। নিহত ১৬ জনের মধ্যে তিন জন মহিলা, পাঁচ শিশুও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুঞ্চে আপাতত রাস্তায় ভারতীয় সেনা। সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করছেন তাঁরা। পুঞ্চে কারফিউ জারি করে দেওয়া হয়েছে।
পুঞ্চের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে। কিছু জায়গায় বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে। মাটির নীচে সুড়ঙ্গে রাখা হচ্ছে। নীচের জনবসতিগুলোকেই মূলত টার্গেট করছে পাকিস্তান। পুঞ্চের বাসিন্দারাই বলছেন, ১৯৬৫ সালের যুদ্ধ, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ, কোনও ক্ষেত্রেই পাকিস্তান সাধারণ ঘন জনবসতিকে টার্গেট করেনি। মাঝেমধ্যেই অস্ত্র বিরতি লঙ্ঘিত হয়, তখন স্মল আর্ম ফায়ারিং হয়। কিন্তু এবার হেভি আর্টিলারি বর্ষণ করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে বোমা ফেলা হয়েছে, স্কুল, নার্সারি স্কুল একটি বিএড কলেজে। স্থানীয় একটি বাড়ির ওপর বোমা পড়েছে। আদতেই কো ল্যাটেরাল ড্যামেজ! প্রত্যেকেই খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ! যুদ্ধের ক্ষেত্রেও কোনওভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা যাবে না, কিন্তু আদতে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তান সেটাই করছে।