India Pakistan Tensions: ‘মায়ের ইচ্ছায় চিকিৎসক হতে চেয়েছিলাম, হয়েছিলাম হাফিজ সইদের পাহারাদার-সফরসঙ্গী’, ঝড় তুলল এক ‘অসফল’ চিকিৎসকের লেখনি
India Pakistan Tensions: এক্স হ্যান্ডেলে উল্লেখিত পোস্ট অনুযায়ী, ওই যুবক তাঁর মায়ের ইচ্ছায় চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন তিনি পূরণ করতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পরিবর্তে, তিনি লস্কর-এ যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আর সেটাও হাফিজ সইদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে।

নয়া দিল্লি: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার প্রায় একই সময়ে একই কায়দায় মিসাইল-ড্রোন হামলা শুরু করে পাকিস্তান। প্রায় সব হামলাই ব্যর্থ করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের জঙ্গিতোষণ, সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া সংক্রান্ত নেটিজেনদের একাধিক মন্তব্য ঘোরাফেরা করছে সামাজিক মাধ্য়মে। এরকমই একটি এক্স হ্যান্ডেলের টুইট ভাইরাল হয়েছে। নূর দায়েরি নামে এক ব্যক্তি নিজের সামাজিক মাধ্যমে সেই পোস্ট করেছেন। তিনি হাফিজ সইদের এক চেহারা নিজের লেখনিতে তুলে ধরেছেন। তবে এই লেখনির চরিত্র তিনি নিজে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। তবে যার কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি একজন চিকিৎসক হতে চেয়ে ব্যর্থ হওয়া যুবক, মতিভ্রমে ঢুকেছিলেন জঙ্গি সংগঠনে, ফের ফিরেও এসেছিলেন সমাজের মূল স্রোতে। হাফিজ সইদকে কীভাবে দেখেছিলেন তিনি, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে লেখনিতে।
এক্স হ্যান্ডেলে উল্লেখিত পোস্ট অনুযায়ী, ওই যুবক তাঁর মায়ের ইচ্ছায় চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন তিনি পূরণ করতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পরিবর্তে, তিনি লস্কর-এ যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আর সেটাও হাফিজ সইদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে।
I aspired to become a doctor in accordance with my late mother’s wish, but I was unable to fulfil this ambition. Rather than pursuing a university education, I chose to join LeT, influenced by a man (Hafiz Saeed) who adversely impacted my promising future.
I recall being… pic.twitter.com/pkE2bcN0bN
— Noor Dahri – نور ڈاہری 🇬🇧 (@dahrinoor2) May 9, 2025
এক্স হ্যান্ডেলে উল্লেখিত পোস্ট অনুযায়ী, “আমার মনে আছে মুরিদকেতে তাকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছিল। সেটিও তখন তার স্থায়ী বাসস্থান এবং প্রধান কার্যালয় ছিল। সইদ পূর্বে একটি নীল পিকআপ ড্যাটসানে ঘুরে বেড়াত, গাড়ির পিছনের সিটে ঘুমানো, আরাম করারও ব্যবস্থা ছিল।”
ওই যুবকের কথায়, সইদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক যুবক লস্কর-এ যোগ দেয় এবং পরবর্তীতে আফগানিস্তান ও ভারতের কাশ্মীরে যায়। তাঁর কথায়, “দুর্ভাগ্যবশত, তাদের বেশিরভাগই আর ফিরে আসেনি। প্রতি বৃহস্পতিবার, দেশজুড়ে প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তি কুনার প্রদেশে একটি শিবিরে প্রশিক্ষণ নিতে আফগানিস্তানে যায়।”
এক্স হ্যান্ডেল অনুযায়ী, ওই যুবক আফগানিস্তান এবং কাশ্মীরে (পাকিস্তানি) যখন এলইটি-র আসল চেহারা বুঝতে পারেন, তখন তিনি তা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। আর সে সময়ে সইদের লোক তাঁকে কাপুরুষ আখ্যা দিয়েছিল। তাঁর কথায়, “আমার মনে আছে যখন মৃত্যু সম্প্রদায় থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত জানাই, এলইটি কমান্ডাররা আমাকে কাপুরুষ বলে উল্লেখ করেছিল।”
তাঁর পোস্ট অনুযায়ী, “বর্তমানে এলইটির প্রায় দশ লক্ষ প্রশিক্ষিত জঙ্গি রয়েছে যারা রাজ্যের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।”
যদিও এই লেখনির চরিত্র যিনি পোস্ট করেছেন তিনি নন। সম্ভবত, তিনি এমন এক কাহিনীর কথা তুলে ধরে হাফিজ সইদের আরও এক চরিত্রের উন্মোচন করেছেন।





