
নয়াদিল্লি: মৌখিক প্রতিক্রিয়া ভারত দিয়েছে। কিন্তু আমেরিকার দেওয়া ‘শুল্ক-জ্বালা’ কি শুধুই একটা মৌখিক প্রতিক্রিয়া দিয়ে মেটানো যায়। যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প লাগাতর ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্কের বোঝা চাপিয়ে যাচ্ছেন। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, একেবারেই মেটানো যায় না। তাই তো প্রয়োজন উচিত পদক্ষেপ।
রয়টার্স সূত্রে খবর, সেই ‘উচিত পদক্ষেপ’ নিয়েই এবার ভাবনা-চিন্তা করছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সম্ভবত খুব শীঘ্রই আমেরিকার থেকে বন্দুক ও যুদ্ধবিমান নেওয়া বন্ধের কথা ঘোষণা করবে নয়াদিল্লি। আর এই সিদ্ধান্তে নয়াদিল্লি উপনীত হলে, এটাই হবে ট্রাম্পের শুল্কাঘাতের বিরুদ্ধে ভারতের নেওয়া প্রথম পদক্ষেপ এবং কূটনৈতিক সংঘাতের প্রথম অধ্যায়। এই বিশ্বে ভারত অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর এই অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির বরাবরের ভরসা রাশিয়ার। তারপরই নাম রয়েছে আমেরিকারও। যাতে এবার বাঁধ টানার কথা ভাবছে নয়াদিল্লি।
এমনকি, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়েরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার কথা ছিল, তাও নয়াদিল্লি বাতিল করে দিয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি, বাতিল হয়েছে একেবারে চূড়ান্ত ধাপে থাকা কতগুলি অস্ত্রচুক্তি। অর্থাৎ ইঙ্গিত একটা রয়েছে। কিন্তু তা কতটা জোরাল হতে পারে, এখন সেটাই দেখার।
উল্লেখ্য়, ট্রাম্পের শুল্ক-ইস্যুতে বৃহস্পতিবার প্রথমবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির স্বামীনাথন সেন্টেনারি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, “কৃষকদের স্বার্থই সর্বপরি। আর সেই স্বার্থ নিয়ে কোনও রকম সমঝোতা নয়।” বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারত-আমেরিকা শুল্ক সমঝোতা বারংবার হোঁচট খাওয়ার কারণও এই ইস্যুটাই। কোনও ভাবে মার্কিন পণ্য বিশেষ করে ইথানলকে জ্বালানি রূপে ‘এন্ট্রি’ দিতে নারাজ নয়াদিল্লি। তাতে চটেছেন ট্রাম্প। রুশ তেলকে ‘হাতিয়ার’ করে নেমে পড়েছে এককালের ‘বন্ধু’ ভারতের বিরুদ্ধে।