নয়া দিল্লি: দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের (COVID-19) সংখ্য়া। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০ জন, যা গতকালের তুলনায় ১৫.৮ শতাংশ বেশি। মৃতের সংখ্যাও একধাক্কায় বেশ কিছুটা বেড়েছে। একদিনে দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৪২ জনের। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ২৭৭। দেশে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর (Active Case) সংখ্যা ৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩১৯।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গতকাল দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৬৮,০৬৩। একদিনেই তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০, অর্থাৎ একদিনেই ১৫.৮ শতাংশ বেড়েছে সংক্রমণের হার। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ৭০ হাজার ৫১০-এ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩১৯। দেশে সুস্থতার হার ৯৬.০১ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হারও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণের হার ১১.৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০০ টি করোনা পরীক্ষায় ১১ জনেরও বেশি সংখ্যক মানুষের রিপোর্ট পজেটিভ আসছে। দেশের ২৯টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১২০টি জেলাতেই সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬০ হাজার ৪০৫ জন। এই নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ৪৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৫৩৬-এ।
দেশে করোনা আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যাও। একদিনেই দেশে নতুন করে ৪০৭ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এই নিয়ে দেশে মোট ওমিক্রন রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৮৬৮। রাজ্যের ভিত্তিতে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র, সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৮১-তে। দিল্লিকে টপকিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে রাজস্থান, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪৫। ইতিমধ্যেই দেশের ২৭টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে অতি সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্ট।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণের (COVID Vaccination) উপরই। দেশে এখনও অবধি ১৫৩ কোটিরও বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই তা ২ কোটির গণ্ডি পার করেছে। চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির যোদ্ধা ও কো-মর্ডিবিটিযুক্ত ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের প্রিকশন টিকাকরণও।